
মিরসরাইয়ে একটি বসতঘর থেকে ৬৯টি গোখরা সাপের বাচ্চা পাওয়া গেছে। সাপ আতঙ্কে দিন কাটছে ওই পরিবারের সদস্যদের। উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেন ও আলী হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ওমানে কর্মরত। প্রবাসের কষ্টার্জিত টাকায় নির্মাণ করেছেন একটি বাড়ি। সেই বাড়িতে বসবাস করার আগেই বাসা বেঁধেছে সাপ। তাদের সেই স্বপ্নের কুটির থেকে একে একে ৬৯টি গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। সাপ আতঙ্কে দিন কাটছে পরিবারের সদস্যসহ বাড়ির অন্য লোকজনের। শুধু তাই নয়, এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। অনেকগুলো সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি কোনো বড় সাপ।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, একটি গোখরা সাপ একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২০-২৫টি ডিম দেওয়ার সক্ষমতা থাকে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে এখানে একটি সাপ নয়, বেশ কয়েকটি বড় সাপ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন ওই ঘরের পাশ থেকে দুই-একটি করে সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হচ্ছে।
ওই দুই প্রবাসীর বড় ভাই আলাউদ্দিন বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম কোনো বিষমুক্ত সাধারণ সাপ। কিন্তু পরে দেখছি এগুলো সব বি’ষা’ক্ত গোখরা সাপের বাচ্চা। রাত হলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরিবারের ছোট ছোট বাচ্চাগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি সবসময়। সাপগুলো মে’রে ফেলা হয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় সাপের বাচ্চাগুলো এখানে জন্ম নিয়েছে। কিন্তু এগুলো বিষধর সাপ, ছোবল দিলেই ঘটতে পারে যেকোনো ধরনের দু’র্ঘ’টনা। তাই সাপুড়ে ও বন কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।