
লালমনিরহটের কালীগঞ্জে তিস্তাচরের একটি ভুট্টা ক্ষেতে হত্যার শিকার জান্নাতি বেগম (১২) নামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর সেই শিক্ষার্থীর পরিবারের খোঁজখবর নিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শৈলমারী চর এলাকায় নিহত জান্নাতীর বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। সেখানে তিনি নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান । পরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিহত জান্নাতীর কবর জিয়ারত করে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন। এসময় জান্নাতীর পরিবারকে তিনি আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মাস্টার,উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক বাবু বিধান চন্দ্র রায়, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, চন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহীন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আখেরুজ্জামন স্বাধীন,হাসানুজ্জামান জুয়েল,মফিজার রহমান বাবুল,রবিউল ইসলাম রুবেল,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলামসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় জান্নাতির প্রতিবেশী বেলাল হোসেন জান্নাতির বাড়িতে জান্নাতিকে একা পেয়ে তার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন বেলাল। এ সময় জান্নাতি চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জান্নাতীর মুখে মাটি ঢুকিয়ে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা করেন। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ জান্নাতির মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান। জান্নাতী উপজেলার ভোটমারী চর শৌলমার গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। তিনি স্থানীয় ভোটমারী এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনায় বেলালের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত জান্নাতীর বাবা ফজলুল হক। মামলার পর ওই দিন রাতেই বেলাল কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বেলাল নিজেই জান্নাতীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদলতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে সে জেলহাজতে রয়েছেন।
নিহত জান্নাতীর বাবা-মায়ের ভাষ্যমতে এ হত্যাকান্ডে জড়িত শুধু বেলাল নয় ।