
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন এই বছরে ডিএনসিসি এলাকায় ৫ লাখ গাছ লাগানো হবে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা’য় ‘পরিবেশ বাঁচাও’ শিরোনামে প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মো. আবু সেলিম এর একক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেছেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার সব রাস্তা, ফুটপাত, মিডিয়ান ও সব পাবলিক স্পেসে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এই বছর আমরা ৫ লাখ বৃক্ষরোপণ করবো। এই বৃক্ষরোপণে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা হবে, পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে এমন সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হবে।’
এসময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলো ঢাকার রাস্তায়, ফুটপাতে, মাঠে, পার্কে, খালে, ড্রেনে প্রতিটি জায়গায় এতো বেশি ময়লা যা সংগ্রহ করতে করতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা টায়ার্ড হয়ে যায়। মানুষ ঢাকা শহরে নির্বিচারে যত্রতত্র ময়লা ফেলে দেয়। পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়তে হলে যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদেরও আরও দক্ষতার সাথে পরিচ্ছন্নতার কাজ করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক জায়গায় দেখা যায় ময়লা এসটিএসে (সেকেন ট্রান্সফার স্টেশন) না ফেলে খালে, বিলে ফেলে দিচ্ছে। অনেকে রান্না ঘরের জানালা দিয়ে ময়লা ফেলে দিচ্ছে। এর ফলে শহর নোংরা হচ্ছে, আমরা নিজেরা নিজেদের বাড়িঘর নোংরা করছি পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করছি। বাসাবাড়ির এসব ময়লা বিশেষ করে প্লাস্টিক, পলিথিনে বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশার জন্ম হয়৷ এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এগুলো বন্ধ করতে হবে, সবাইকে সচেতন হতে হবে।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ঢাকা শহরে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বড় অংকের মুনাফার জন্য পরিবেশের ক্ষতি করেছে। তাদের দখলেই গেছে খাল, বন। আমরা গত সরকারের আমলে প্রাণ বিনাশী উন্নয়ন দেখেছি। আমাদের লেখক, শিল্পী, সাংস্কৃতিকদের প্রাণ বিনাশী ক্ষতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। এমন কোন উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া যাবে না যে প্রকল্প মানুষের জীবন বিপন্ন করে, প্রাণ বিপন্ন করে, নদী বিনষ্ট করে, বাতাস দূষিত করে।’
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন এবং অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
ডিআই/এসকে