
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী মো.জসিম বেপারী হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব-৩ ও র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু এ তথ্য নিশ্চিত করেন৷ এদিন গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে রায়পুর থানা পুলিশ।
এরআগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে ও সন্ধ্যায় ঢাকার দোয়েল চত্বর ও শাহবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- শাহাদাত গাজী (২৮), হানিফ দেওয়ান (৫২), ইমান হোসেন গাজী (৫৩), ছলেমান দেওয়ান (৫৫), হারুন বকসি (৫০), তছলিম দেওয়ান (৪০), খিদির রাঢ়ী (৫২), মিজান সর্দার (৩৫), ছিদ্দিক আলী দেওয়ান (৩৬), মেছের আলী খাঁ (৪১), জাকির মুতাইত (২৮), আবদুল মান্নান গাজী (৪৮), আবুল খায়ের গাজী (৩৭) ও হানিফা গাজী (৪৮)।
এরা সকলে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থক।
র্যাব জানায়,জসিম হত্যার ঘটনায় মামলার পর এজাহারনামীয় আসামিরা পালিয়ে যায়। তাদেরকে ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ নোয়াখালী ও র্যাব-৩ ঢাকা এর যৌথ অভিযানিক দল মঙ্গলবার বিকেলে পৃথক অভিযান চালিয়ে ঢাকার দোয়েল চত্বর থেকে ৮ জন এবং শাহবাগ মোড় এলাকা থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করে।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত ৭ এপ্রিল বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কৃষকদল নেতা জিএম শামীম ও মোস্তফা গাজীর লোকজন জসিমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। ১৪ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
জসিম হত্যায় তার বাবা ফজল করিম বেপারী বাদী হয়ে গত ১৬ এপ্রিল ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী মোস্তফা কামাল ও রায়পুর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব জিএম শামীমসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৮০ জনকে আসামি করা হয়। সে ফারুক কবিরাজের অনুসারী এবং তিনি পেশায় ঢালাই শ্রমিক ছিলেন।
গত ৭ এপ্রিলের ঘটনায় উপজেলা কৃষকদল নেতা জিএম শামীমের অনুসারী বিএনপি কর্মী ও স্পেন প্রবাসী সাইজ উদ্দিন দেওয়ান নিহত হয়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মোট দুইজন নিহত হয়েছে।
ডিআই/এসকে