সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে নৌ-বাহিনীর অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নিত একটি চিক্র। একটি আবাসিক হোটেলে নেওয়া হতো ভুয়া লিখিত পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে হোটেলে বসেই দেওয় হতো ভুয়া নিয়োগপত্র। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে এক ভুক্তভোগীর বাবা লিখিত অভিযোগ করলে ঘটনার ৫ মাস পর প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পিবিআই নেত্রকোণা জেলা।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সিলেট বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতারক চক্রের মূলহোতা হাবিবুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ও বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট পদের ২টি ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এই তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই হেডকোয়ার্টারের (মিডিয়া অফিসার) পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ।
আবু ইউসুফ বলেন, হাবিবুল্লাহ বাগেরহাট জেলায় থাকাবস্থায় বিমানবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে নৌ-বাহিনীর অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নেত্রকোণার আটপাড়া থানার ৫ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে হাবিবুল্লাহ তার প্রথম স্ত্রীর বড় ভাই মহিবুল্লাহ ও তার ছোট ভাই মহিউদ্দীনের মাধ্যমে খুলনা সোনাডাঙ্গা বাইপাস এলাকায় জানুয়ারি মাসে আবাসিক হোটেলে নৌ-বাহিনীর অফিস সহায়ক কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে ভুয়া লিখিত পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষা শেষে উক্ত হোটেলেই তাদেরকে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ২৭ জুলাই ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমানের পিতা আরাধন পিবিআই নেত্রকোণা জেলায় ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা ওঠে আসে।
তিনি বলেন, প্রতারণা ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি আত্মগোপন করেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) খুলনায় ও সিলেটে অভিযান চালিয়ে সিলেট বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতারক চক্রের মূলহোতা হাবিবুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজতে থাকা সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ও বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট পদের ২টা ভুয়া আইডি কার্ড বিধি মোতাবেক জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হাবিবুল্লাহ প্রতারণামূলকভাবে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৩০ লক্ষাধিক টাকা গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করে।
ডিআই/এসকে