ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
শ্রীনগরে ফসলি জমি কাটার মহোৎসব
মিরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
নওগাঁয় বিজিবি’র অভিযানে ১৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার
নওগাঁয় প্রয়াত সাংবাদিক মাসুদুর রহমানের স্মরণসভা
আত্রাইয়ে শিক্ষার্থীদের ভৌগোলিক জ্ঞান বৃদ্ধিতে বিদ্যালয়ে মানচিত্র স্থাপন
কলাপাড়ায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ভূরুঙ্গামারীতে নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযানে আ’লীগের ৫ নেতা গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে ছাত্র হত্যার মামলায় ১৬জন আ’লীগের নেতা আটক
নাটোরে বিএসটিআই’র অভিযান : তিন বেকারি কারখানাকে মামলা ও জরিমানা
ঘুমধুম সীমান্তে ২০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৩৪ বিজিবি
পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ফুলবাড়ীতে ছাত্রদলের মানববন্ধন
জামালখান এলাকায় পাহাড় কেটে নির্মিতব্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চউকে’র অভিযান
ঝিকরগাছায় মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
ফরিদপুরে হত্যা মামলার ২ আসামি ঢাকায় গ্রেফতার
উলিপুরে নাশকতা বিরোধী অভিযানে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্যসহ গ্রেফতার ২

নোয়াখালীতে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে হয়রানির অভিযোগ

নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে ভুক্তভোগী যুবদল নেতা আজাদ মোল্লা (৩৩) সাংবাদিকদের কাছে নিজের অবস্থান তুলে ধরে তাঁর বিরুদ্ধে করা অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানান।

আজাদ মোল্লা (৩৩) উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মো. আনোয়ারুল হক নশুর ছেলে।

ভুক্তভোগী যুবদল নেতা আজাদ মোল্লা বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জহির আলম নামের ওই ব্যক্তি একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে করা একটি ভিডিওর খন্ডিত অংশ ছড়িয়ে আমার মানহানির চেষ্টা করছে। আমি এঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।
সরেজমিনে জানা গেছে, আন্ডারচর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মানছুর আহমেদের ভোগদখলে থাকা ২ একর ৯০ শতক জমি নিজেদের দাবি করে স্থানীয় জহির আলম ও আবদুল মালেক নামের দুইটা পক্ষের বিরোধ চলছিল। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে দুই পক্ষই পশ্চিম মাইজচরা নতুন বাজার সমাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নিকট বিচার প্রার্থনা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন।
এরআগে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আ’লীগ সরকার পতনের সুযোগে অবৈধভাবে মানছুরের দখলে থাকা জমি উদ্ধার করতে জহির আলম স্থানীয় মো. সবুজ নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে অভিযুক্ত ওই কৃষকলীগ নেতার সাথে দেড় লাখ টাকা ও ব্যাংক স্ট্যাম্পে চুক্তিবদ্ধ হয়। এর মধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও মাটি বিক্রির পরে বাকি ১ লাখ টাকা দেওয়ার কথা হয়। পরে জহির আলম নিজের দখল দাবি করে জমির মাটি বিক্রি করতে গেলে প্রতিপক্ষ আবদুল মালেকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমাজের প্রতিনিধিগণ বাধা দেয়। এছাড়াও দুপক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আজাদ মোল্লা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. ইলিয়াস ও আহমেদ মেম্বারের সহায়তায় ফ্যাসিস্টের দোসর মানছুর ও সবুজের নিকট থেকে চুক্তিকৃত ৩০ হাজার টাকা ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করে।

জানা গেছে, বিষয়টি মানতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষক জহির আলম বিভিন্ন সময় যুবদল নেতার পরিবারকে নিয়ে অশোভন আচরণ এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গত ১৭ এপ্রিল সকালে আজাদ মোল্লার বসত বাড়িতে অবৈধভাবে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে করতে প্রবেশ করে এবং ভিডিও চালু রেখে দরজার সামনে গিয়ে কাগজপত্র চাইতে থাকে। পরক্ষণে এনিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা এবং হাতাহাতি হয়। যার খন্ডিত ভিডিওর একটি অংশ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় জহির। এ ঘটনায় একই দিন বিকেলে নতুন বাজার এলাকায় স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এতে জহির আলম নিজের ভুল স্বীকার সবার নিকট ক্ষমা চেয়ে একটি স্টেটমেন্ট দেয়। সে ভিডিও টিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে গত ১৯ এপ্রিল থেকে একটি কুচক্রী মহল জহির আলম নামের ওই কৃষককে উস্কানি দিয়ে যুবদল নেতাকে ঘিরে মানহানিকর মন্তব্য ছড়াচ্ছে এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করছে। যা নিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ উঠে, জহির আলম জমির দখল না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবদল নেতাকে ঘিরে অপপ্রচারে লিপ্ত হন। এনিয়ে একটি কুচক্রী মহল জহির আলমকে দিয়ে গত ২০ এপ্রিল মানছুর আহমেদ গংদের অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করলেও রহস্যজনকভাবে যুবদল নেতাকে সম্পৃক্ত করে সংবাদ প্রকাশ করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করছেন অনেকে।

এবিষয়ে জহির আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইচ্ছেকৃতভাবে বিনা অনুমতিতে ভিডিও করার বিষয়টি স্বীকার করেন। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সয়লাভ। এছাড়াও আজাদ মোল্লার কাছে কোনো টাকা-পয়সা কিংবা কাগজপত্র জমা দেননি মর্মে জানান।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. ইলিয়াস জানান, জহির আলম স্থানীয় সবুজের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকার চুক্তিতে মানছুর থেকে জমি দখল নেওয়ার চুক্তি করেন। এখন সবার প্রশ্ন, যদি জমির প্রকৃত মালিক জহির আলম হয় তাহলে মানছুরকে টাকা দিয়ে নিতে হবে কেন? এনিয়ে ইউনিয়ন আজাদ মোল্লা আমাদের প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় অবৈধভাবে জমি দখলকারি মানছুর থেকে চুক্তিকৃত ৩০ হাজার টাকা ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করে। জহির আলম ওরফে হেফাজতের একটু মানসিক সমস্যা আছে। রাগে-ক্ষোভে তিনি ওই যুবদল নেতাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন, বিভিন্ন জনের কাছে বিচার দেন, যা দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আহমেদ হোসেন বলেন, আজাদ মোল্লার চাঁদা দাবি করা কিংবা জমি দখল করার বিষয়টি সত্য নয়। তিনিও জমির সমস্যা সমাধানে আমাদের সাথে বৈঠকে ছিলেন।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ