আর মাত্র ক’দিন পরেই সবুজ ধানগাছ ও শীষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ। মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শূন্য গোলা। ফলে মাঠে দোল খাওয়া নতুন ধানের নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।
সাপাহার উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। ধানের সবল-সতেজ চারা এবং শীষ বের হয়েছে। তাই এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধানের ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের প্রতিটি ক্ষেতে শীষ উকি দিচ্ছে। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। কৃষকরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং ব্যবহার করছেন কেউ কেউ।
হাপানিয়া গ্রামের স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত বোরো আমন ধান অনেক ভালো হয়েছে। উপজেলার পাতাড়ী ইউনিয়নের আগাতলা গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক, মোকসেদ করমু ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হালিম,সাইফুল,অনেকেই বলেন,আমাদের ফসল খুব ভালো হইছে।আশা করি ভালো ফলন পাইয়াম। আর কয়দিন পরেই ফলন ঘরে উঠবে।’
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান (টকি) বলেন,বোরো ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছে।বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।
সাপাহার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাপলা খাতুন জানান,চলতি বছর উপজেলায় ৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।ফসলও বেশ ভালো হয়েছে।আশা করি বাম্পার ফলন হবে।