ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ডাল ফসল উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে পার্টনার প্রকল্প। চলতি মৌসুমে ডাল ফসলের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ডাল চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। এছাড়াও সারা বছর চাহিদা থাকায় অনেকেই মসুর ডাল চাষে মনোনিবেশ করেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আইপিএম কৌশলের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে পাইকেরছড়া ও শিলখুড়ি ইউনিয়নে ১২ বিঘা জমিতে বারী মসুর-৮ জাতের প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হয়। পাশাপাশি পার্টনার প্রকল্প ও উপজেলা কৃষি অফিসের প্রণোদনায় দশটি ইউনিয়নে প্রায় ১১০ হেক্টর জমিতে মসুর ডাল চাষ করা হয়েছে। কৃষকদের উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে ডালবীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ২৫ জন কৃষক-কৃষানীর সমন্বয়ে পরিচালিত হয় পার্টনার ফিল্ড স্কুল (পিএফএস)। দশটি সেশন শেষে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে সনদপত্র ও সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়।
পাইকেরছড়ার কৃষক হাসানুজ্জামান, সুলতান মিয়া ও ফরিদুল ইসলাম জানান, “প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে বীজ-সার, ছত্রাকনাশক ও বীজ সংরক্ষণ পাত্র সময়মতো পাওয়ায় আমরা ভালো ফলন পেয়েছি। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।”
শিলখুড়ির কৃষক মোফাজ্জল হোসেন ও জাবেদ আলী বলেন, “বিনামূল্যে উন্নত মানের ড্রামে বীজ সংরক্ষণ করতে পেরেছি। আগামীতেও আরও বেশি জমিতে ডাল চাষ করবো।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, “কৃষকদের সময়মতো ডাল বীজ ও সার সরবরাহসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকেরা উপকৃত হয়েছেন। উৎপাদনে সন্তুষ্টি দেখে আমরাও আনন্দিত।”কৃষকরা জানিয়েছেন, ডাল এখন লাভজনক আবাদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি তারা এখন ডাল চাষেও ঝুঁকছেন।