
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসন ও তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টায় অত্র কলেজে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তাদের মূল দাবি তিনটি।
প্রথমত, ৯ম গ্রেডে প্রবেশে সমতা ও Assistant Engineer পদে বিএসসি ডিগ্রি বাধ্যতামূলককরণ। একইসাথে কোটাভিত্তিক পদোন্নতি বাতিল।
দ্বিতীয়ত, ১০ম গ্রেডে সুযোগ সৃষ্টি। Sub-Assistant Engineer পদে ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয়ের জন্য উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তৃতীয়ত, ইঞ্জিনিয়ার পদবির সুরক্ষা। বিএসসি ডিগ্রিবিহীনদের “ইঞ্জিনিয়ার” পদবি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের মতে, বর্তমানে PDB ও সরকারি প্রকৌশল বিভাগে কোটা লঙ্ঘন করে ডিপ্লোমাধারীদের অযৌক্তিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, যা সংবিধানের ১৯(১), ২০(১) ও ২৯(১) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে। তারা আরও জানান, অদক্ষতা ও অযোগ্যতা যে কোনো দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। বর্তমানে প্রকৌশল খাতে চলমান বৈষম্য শুধু মেধার অবমূল্যায়নই নয়, জাতীয় অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য মারাত্মক হুমকি।
বর্তমান সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার কারণে বিএসসি ডিগ্রীধারী প্রকৌশলীরা পেশাগতভাবে মারাত্মক বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এই অন্যায্য ব্যবস্থা শুধু পেশাগত মর্যাদাই লঙ্ঘন করছে না, বরং জাতীয় উন্নয়নের গতিও ব্যাহত করছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। কিন্তু শহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকারের পরেও চাকরিক্ষেত্রে এই ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা বহাল রাখা জুলাই শহিদদের স্বপ্নের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।