
ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আচারগাঁও নাথাপাড়া মহল্লার মৃত আইন উদ্দিনের পুত্র চাঁন মিয়ার অসহায় পরিবারের ৭১ শতাংশ জায়গা ৫০ বছর যাবত দখলে রেখেছে বাহা উদ্দিন ভূইয়া নামে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। পৈত্রিক সম্পত্তির স্বত্তাধিকার রয়েছে জানতে পেরে সম্পত্তি ফিরত চাইলে ওই নিরীহ পরিবারকে হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন চাঁন মিয়ার পুত্র মনসুর মিয়া। তবে জোর দখল সহ হামলা-মামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন ওই মহল্লার মৃত গফুর ভূইয়ার পুত্র অভিযুক্ত ব্যক্তি বাহা উদ্দিন ভূইয়া। তিনি জানান, চাঁন মিয়ার ভাই আবেদ আলীর নিকট থেকে ১৯৭৩ সনে ৭১ শতাংশ জমি সাফ কাওলা মূলে ক্রয় করে ভোগ দখলে আছেন। এখন চাঁন মিয়ারা তা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা অনৈতিক বলে দাবী করেন। এ দিকে অভিযোগকারী মনসুর মিয়া বলেন, বাহা উদ্দিন ভূইয়া কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর থেকে স্ট্যাম্প এনে নান্দাইল সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ত্রুটিযুক্ত দলিল বানিয়ে আমার চাচা (আবেদ আলীর) সাথে জালিয়াতি করে পুরো সম্পত্তি দখলে নিয়ে গেছে। এতে আরও তিনজনের হিস্যা মুসলিম ফারায়েজের আইন লংঘন করা হয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বসানো হলেও তারা সালিশে আসতে চায় না, এমনকি জায়গার কাগজপত্রও দেখাতে চায় না। এ বিষয়ে চাঁন মিয়া বলেন, ৫ই আগস্টের পরে এলাকাবাসী আমাদের জমির স্বত্তাধিকারের বিষয়টি জানতে পেরে আমাদেরকে দখলে দেয়। এরপর থেকে বাহা উদ্দিন ভূইয়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রভাব কাটিয়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। বরং ওই ৭১ এর খাত ১০ শতাংশ জমি হিন্দু পরিবারের নিকট বিআরএস মূলে বিক্রী করে দিয়ে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে আমাদেরকে অত্যাচার নির্যাতন সহ মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে। মনসুর মিয়া আরও জানান, বিআরএস রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতে একটি মোকাদ্দমা রয়েছে। এছাড়া দলিল জালিয়াতীর মাধ্যমে অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন সহ নিজ ভূমির দখল অক্ষুন্ন রাখার জন্য বধুবার (১৬ এপ্রিল) জেলা পুলিশ সুপার ও নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্তের জন্য অভিযোগপত্রটি এসিল্যান্ডের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।