
রাখাইন বর্ষবরণ উপলক্ষে কুয়াকাটায় রাখাইনদের ৩দিন ব্যাপী জলকেলি রাখাইন ভাষায় ”সাংগ্রাই” উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩ টায় কুয়াকাটা কেরানীপাড়া রাখাইন মার্কেট মাঠে পুরাতন বছর ১৩৮৬ সাল বিদায় ও নতুন বছর ১৩৮৭ কে বরণে এদিন রাখাইন তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের নারী-পুরুষ এ অনুষ্ঠানে মেতে উঠেন। চলবে রবিবার পর্যন্ত।
রাখাইন তরুণীদের নৃত্য পরিবেশনা শেষে সেখানে তরুণ-তরুণীদের ভালোবাসায় সিক্ত জল একে অপরের গায়ে ছিটিয়ে পালন করা হয় রাখাইন সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এ উৎসব।
এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রবিউল ইসলাম , বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, কলাপাড়া লেডিস ক্লাবের সভাপতি সুমাইয়া ফাহিমুন এমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মোকছেদুল আলম, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির, কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ড. শহিদুল ইসলাম শাহীন, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সহ অনুষ্ঠানে আসা হাজারো রাখাইন এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ। অনুষ্ঠানের শুরুতে গাঁজায় গনহত্যার প্রতিবাদে ১ মিনিট নিরাবতা পালন করেন রাখাইন সম্প্রদায়। বর্ষবরনের এ উৎসব উপলক্ষে নাচে গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে তরুন-তরুনীরা। শেষে রাখাইন কিশোর-কিশোরীরা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের গায়ে মেরে জলকেলিতে মেতে উঠেন।
রাখাইন তরুণী ইয়াংসা বলেন, পুরোনো বছরের সব গ্লানি ও দুঃখ জলে মুছে নতুনভাবে জলে জলে পরিশুদ্ধির জন্য এই উৎসব। টানা ৩ দিন চলবে এই উৎসব। এ উৎসব ঘিরে ৩ দিনব্যাপী জলকেলি ছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে রান্না হচ্ছে নিজস্ব খাবার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবিউল ইসলাম বলেন, ‘জলকেলি উৎসবটি রাখাইনদের হলেও এটি কালক্রমে এ অঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্যান্ডেলগুলোতে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।