
১৭ ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনেই তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমানে মুজিবনগর) গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার, যা মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘প্রবাসী সরকার’ হিসেবে পরিচিত ছিল। এই নবগঠিত সরকারকে সম্মান জানিয়ে ১২ জন সাহসী আনসার সদস্য “গার্ড অব অনার” প্রদান করেন, যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মুহূর্ত।
মুজিবনগর দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে সেই ১২ জন গার্ড অব অনার প্রদানকারী বীর আনসার মুক্তিযোদ্ধা ও ১ জন বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত সদস্য এবং তাঁদের পরিবারকে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বাহিনীরটির উপ পরিচালক মো. আশিকউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গার্ড অব অনার প্রদানকারী গর্বিত আনসার সদস্যরা হলেন: পিসি ইয়াদ আলী, এপিসি মো. মহিউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মো. মফিজ উদ্দিন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. অছির আলী মল্লিক, মো. আজিম উদ্দিন শেখ, মো. ফকির মোহাম্মদ, মো. লিয়াকত আলী, মো. কিসমত আলী, মো. হামিদুর হক ও মো. সাহেব আলী। বীরপ্রতীকপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হলেন শহিদ ওয়ালিউল হোসেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর অবদান ছিল অতুলনীয়। আনসার সদস্যরা শুধু অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেননি, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, অস্ত্র সরবরাহ ও প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গঠনে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁদের ৪০ হাজার .৩০৩ রাইফেল দিয়েই সূচনা হয়েছিল সশস্ত্র প্রতিরোধের। মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৬৫৭ জন আনসার সদস্যসহ মোট ৬৭০ জন শাহাদাত বরণ করেন। আনসার বাহিনী আজও সেই গৌরবময় অতীতের উত্তরসূরি হিসেবে জাতির নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সম্মান রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ডিআই/এসকে