জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই চোরাচালান বন্ধ সম্ভব বলে মন্তব্য করেন ইউএনও। এছাড়া তিনি বিজিবি ও প্রশাসন শত চেষ্টা করেও একাএকা চোরাচালান বন্ধ করাসহ সবকাজ করা সম্ভব না। অপর দিকে পাহাড় ও মাটিকাটা বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিজিবি ও পুলিশকেও ভূমিকা পালন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ( ১৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টায়
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী
এ সব কথা বলেন।
সভায় বক্তারা আরো বলেন ,সীমান্ত সড়ক বিজিবি ও সংশ্লিষ্টদের টহলসহ রাষ্ট্রীয় কাজ সম্পন্ন করতে এটির সংযোগ সড়ক গুলোর দ্রুত সংস্কারের অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে।
এছাড়াও তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাহাড়কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো তৎপর হতে অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া মাইন বিষ্ফোরণ,ভোটার হওয়া নিয়ে জটিলতা,কতৃপক্ষবিহীন মাইকিং,
রাবার বাগানে চুরি,দু'সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যকার ৩ শত রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা,বাইশারীতে বিজিবি টহল,পুলিশ তৎপরতা বৃদ্ধি সহ আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিযে আলোচনা করা হয় সভা সমূহে।
সভায় বক্তব্য রাখেন থানার অফিসার ইনচার্জের পক্ষে সেকেন্ড অফিসার মোহাম্মদ ইউনুছ,কৃষি অফিসার এনামুল হক,মৎস্য অফিসার চয়ন বিশ্বাস,এনএসআই এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ,প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য আবদুর রশিদ,১১ বিজিবি অধিনায়কের পক্ষে সুবেদার মোহাম্মদ ইদ্রিস ও ৩৪ বিজিবি অধিনায়কের পক্ষে সুবেদার আবদুল জলিল। এছাড়া কমিটির সদস্যসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য,শিক্ষক সাংবাদিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।
প্রমূখ।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার পর এ দিন উপজেলার মাসিক সাধারণ সভা,চোরাচালান বিরোধী কমিটির সভা,মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ ও দ্রব্যমূল্যসংক্রান্ত কমিটি সহ বেশ কয়েকটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।