রাজধানীর পল্লবীতে বাইক সার্ভিসিংয়ের দোকানে গাড়িতে হাওয়া দেওয়া মেশিনের (কমপ্রেশার) সাহায্যে পেটে বাতাস গ্যাস ঢুকিয়ে ৪ বছরের শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত শিশুর নাম- আবু বক্কর সিদ্দিক।
পায়ুপথে বাতাস প্রবেশ করানোর কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় একজন অজ্ঞাতনামাসহ চারজনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ওই হত্যা মামলা করেছেন শিশুটির মা আয়শা। আসামিদের একজন কিশোর হওয়ায় শিশু আইন ২০১৩ অনুসারে, তার নাম উল্লেখ করা হলো না। বাকি দুই আসামি রাজু (২০) ও মো. সুজন খান (৩৬)।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
জানা যায়, নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক জাবেদ আলী ও মোছা. আয়শার দুই সন্তানের মধ্যে ছোট। সে ফুলকলি-৭ নামের একটি এনজিও স্কুলে শিশু শ্রেণিতে পড়ত। বাবা বাসচালক ও মা পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। মনোমালিন্য থাকায় শিশুটির মা-বাবা বাউনিয়াবাদে আলাদা বসবাস করেন। শিশু দুটি মায়ের সঙ্গে থাকত। প্রায় এক বছর আগে ‘আলহামদুলিল্লাহ বাইক সার্ভিস সেন্টার’ নামে একটি গ্যারেজে কাজে ঢোকে আবুর বড় ভাই মো. জিহাদ (১২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটির বড় ভাই জিহাদ দোকানটিতে কাজ করেন। শিশুটি ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে খুঁজে পাইনি। এসময় দোকানের মালিক সুজন ও তার ১২ বছর বয়সী কর্মচারী আকাশ শিশুর পায়ুপথে হাওয়া দেয়। এসময় শিশুটি চিৎকার, কান্না করলেও থামেনি তারা। এক পর্যায় পেট ফেটে শেষ মারা যায় শিশুটি।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে পায়ুপথে বাতাস ঢোকানোর কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। একজন কিশোরকে আটক করা হয়েছে। কিশোর হওয়ায় তাকে সমাজসেবা কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। পুলিশ তদন্ত করে বোঝার চেষ্টা করছে, কে কী উদ্দেশ্যে শিশুটির পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়েছিল। গ্যারেজে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। অন্য এক দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
ডিআই/এসকে