
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উক্ত অফিসের খন্ডকালীন ঝাড়ুদার রনি’র ইন্ধনে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলাররা চাল বিতরণে অনিয়ম করেছেন। সুত্রে ও সরোজমিনে ঘুরে জানা গেছে, বাউফল উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ৮ জন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার ১৮ মার্চ মঙ্গলবার চাল বিতরণ কালে সুবিধা ভুগীদের মাথা পিছু ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিবর্তে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ৫ জনে ২৮ কেজি করে ও ২ জনে ২৭ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে হতদরিদ্র সুবিধা ভুগীরা প্রতিবাদ করলেও কোন প্রকার প্রতিকার মেলেনি। এ সকল ডিলারদের নিয়ম বর্হিভূত চাল বিতরণের খবর পেয়ে কতিপয় সাংবাদিকরা পৃথকভাবে উক্ত ডিলারদের কাছে গিয়ে চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে তারা প্রত্যেকে তাদের কে এক বাক্যয় জানায় তাদের কে বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও তার ব্যক্তিগত সহকারী কাম উক্ত অফিসের খন্ডকালীন ঝাড়ুদার রনি তাদের দুই কেজি করে চাল কম দিয়ে সুবিধা ভুগীদের মাঝে বিতরণ করতে বলেছেন বলে এমনটিই তারা জানায়। যে সকল ডিলার গন এদিন চাল বিতরণে অনিয়ম করেছেন তারা হলেন, কাছিপাড়া ইউনিয়নের ডিলার লিটন মৃধা- বিক্রয় কেন্দ্র -পারের বাজার, কালিশুরী ইউনিয়নের ডিলার মোঃ কামাল হোসেন – বিক্রয় কেন্দ্র – মাতুব্বর বাজার,ধুলিয়া ইউনিয়নের ডিলার -মোঃ শামিম হোসেন -বিক্রয় কেন্দ্র -ধুলিয়া বাজার ও মেরিনা – বিক্রয় কেন্দ্র -সিকদার বাজার,মদনপুরা ইউনিয়নের ডিলার মোঃ রফিকুল ইসলাম – বিক্রয় কেন্দ্র -চন্দ্র পাড়া বাজার,বাউফল সদর ইউনিয়নের ডিলার – বিনা- বিক্রয় কেন্দ্র – বিল বিলাস বাজার ও মোঃ রাইসুল ইসলাম রাসেল – বিক্রয় কেন্দ্র অলিপুরা বাজার এবং কেশবপুর ইউনিয়নের ডিলার রেজাউল হক রিন্টু- বিক্রয় কেন্দ্র – কেশবপুর বাজার। উক্ত ডিলারদের মধ্যে খাদ্য গোডাউন থেকে ৬ জন ডিলার ৫০ কেজির ও দুই জন ডিলার ৩০ কেজির চালের বস্তা সংগ্রহ করেছেন। ধুলিয়া ইউনিয়নের ডিলার মোঃ শামিম হোসেন ও মেরিনা ৩০ কেজির চালের বস্তা সংগ্রহ করে তা ভেঙ্গে সুবিধা ভুগীদের মাঝে ২৭ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বাকী ৬ ইউনিয়নের ডিলার গন ৫০ কেজির চালের বস্তা সংগ্রহ করে তা ভেঙ্গে হতদরিদ্র সুবিধা ভুগীদের মাঝে ২৮ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয় জানতে বাউফল উপজেলা খাদ্য অফিসের খাদ্য কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী কাম উক্ত অফিসের খন্ডকালীন ঝাড়ুদার রনি সওদাগর এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উক্ত ব্যাপারে জানতে বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেনি প্রথমে।পরে তিন ঘন্টা পরে এ প্রতিবেদক এর মুঠোফোনে তিনি কল দিলে উক্ত প্রতিবেদক ৮ ইউনিয়নের ৮ জন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলারদের চাল বিতরণে অনিয়ম হয়েছে এ কথা বলতেই তিনি বলেন আমি দুমকী আছি।এই কথা বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি। এ বিষয় জানতে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মুঠোফোনে কয়েক বার কল দিলেও প্রতিবারই তাঁর ফোন কল ব্যাস্ত পাওয়া যায়। এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উক্ত বিষয় মুঠোফোনে মোঃ নাসির উদ্দীন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পটুয়াখালী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি পটুয়াখালী আছি,বাউফলের টিসিএফ’র নিকট ফোন দিতে বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।