ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নবীগঞ্জে ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা: আতঙ্কে ১২টি পরিবার
কলাপাড়ায় জলবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৬০ পরিবার পেল ত্রান সহায়তা
পঞ্চগড়ে কাগজিয়াপাড়া গোরস্থান থেকে ৫ টি কঙ্কাল চুরি
বাগমারায় আসামি ছিনিয়ে হত্যা,মামলার প্রধান আসামি আত্রাই থেকে গ্রেপ্তার
পিরোজপুরে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন
দলীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে সকলকে অগ্রসর হতে হবে-ড.ওবায়দুল ইসলাম
কুড়িগ্রামে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে ২ ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি
জাতীয় প্রাথমিক পদক প্রতিযোগিতায় দেশ সেরা হলেন কুড়িগ্রামের আব্দুল্লাহ রাদ বিন রাজু
সুন্দরবনে বনবিভাগের বিশেষ অভিযানে হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার
শেরপুরে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনে পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম
এনসিপি বোদা উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠিত
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন আফছার আলী
নাইক্ষ্যংছড়িতে চোরাকারবারির সাথে বিজিবির গোলাগুলিতে আহত-৪, হামলাকারী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মৃতিচারণ সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন
লক্ষ্মীপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত

ঝালকাঠিতে জন্ম সনদে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু মঠবাড়ি নয়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদেই জন্মসনদ গ্রহণ ও সংশোধনে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. কবির সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন এলাকায় না থাকায় তিনি আগে কোথাও জন্ম নিবন্ধন করতে পারেননি। পরে ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করেন। তবে মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান তার কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

কবির খান বলেন, ‘প্রথমে ঘুষ দিতে রাজি হইনি, কিন্তু তিনি নানা অজুহাতে আমার আবেদন ফেলে রাখেন। পরে নিরুপায় হয়ে টাকা দিলে সেদিনই জন্মসনদ পাই।’তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ইউনিয়নে যোগদানের পর থেকেই নিয়মবহির্ভূতভাবে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না। ঘুষ না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।তবে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মো. কবির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে দিতে না পারায় তার জন্মসনদ তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। বিলম্ব হওয়ায় তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়েছে।’রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ বলেন, ‘এর আগেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও অভিযোগ আসছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদেও অনিয়মের অভিযোগ থাকায় স্থানীয়দের দাবি, দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের দুর্নীতি করতে সাহস না পায়।

শেয়ার করুনঃ