ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নওগাঁয় রাতের অন্ধকারে সড়কে পথরোধ করে দুটি মোটরসাইকেল ছিনতাই
খেলাধুলা যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখে:এমপি প্রার্থী রাশেদুল আলম সবুজ
বেতাগীতে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক দ্বিতীয় রাউন্ডের বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
জীবননগরে ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা
আমতলীতে স্কুলের ওয়াল ভেঙ্গে নির্মান সামগ্রী চুরি
ঘোড়াঘাটে সেনাক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ঘোড়াঘাটে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকি ৎসা সেবা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
জলঢাকায় দারিদ্র্য বিমোচনে সামাজিক নিরাপত্তা সেমিনার
শেরেবাংলা নগর থানায় নতুন ওসি
শ্যামনগরে নারী কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রশিক্ষণ
বংশালে পেট্রল ঢেলে বাসে আগুন, গ্রেফতার ৩
মোরেলগঞ্জে উপজেলা পর্যায় ইভলভ্’র কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ছিনতাইকারী আখ্যায় চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া মতিউর সম্পর্কে অজানা তথ্য
মোরেলগঞ্জে ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্ধোধন
নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ

সোনাপুর প্রাইমারি স্কুলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, ২১ দিন পর শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সোনাপুর প্রাইমারি স্কুলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, ২১ দিন পর শিক্ষার্থীর মৃত্যু !
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিদ্যালয়ের ছাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ২১ দিন পর মরিয়ম আক্তার নিশা (১২) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে স্বজনদের সূত্র থেকে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিশা মারা যায়।

এর আগে ২২ জানুয়ারি উপজেলার পূর্ব সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়
নিশা রায়পুর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের খোকা মিয়ার মেয়ে ও পূর্ব সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার দিন বিদ্যালয়ের ছাদে খেলতে গিয়ে নিশা ও রাফসি দগ্ধ হয়।
নিশার শরীরের ৯০ শতাংশ ও রাফসির ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয় বলে তখন চিকিৎসকরা জানান। পরে তাদেরকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিশা মারা যায়।

মিডিয়াকর্মীদের নিহত ছাত্রীর মামা আবদুর রহমান জানান, বিদ্যালয় ঘেঁষে ৪৪ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার রয়েছে। এ কারণে পুরো বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে আমার ভাগ্নিকে জীবন দিতে হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার চাই।

এই ঘটনার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস দাবি করেছিলেন, ‘ছাদে সবসময় তালা দেওয়া থাকে। কে বা কারা তালা খুলে দিয়েছে তা দেখেননি। ছাদের পাশ দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তারটি থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’
দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. শফিউল আলম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত টিম এসেছে। বিষয়টি এখনো তদন্ত চলছে। দায়িত্বে অবহেলা কারণে দায়ীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হতে পারে।

শেয়ার করুনঃ