
গত ৫ অগাস্ট ২০২৪ এর পর লক্ষ্মীপুরে সদরে আওয়ামী লীগের চার নেতার বাড়িঘরে হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে টানা মধ্যে রাত পর্যন্ত ৩০০ লোক শহরের উত্তর তেমুহনী থেকে মিছিল করে সেখানে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ সময় হামলাকারীদের অনেকের হাতে হাতুড়ি ও হ্যামার দেখা গেছে। রাতবর আলাদা আলাদা দলবদ্ধ হয়ে ভাঙচুর চলছিল।
বাড়িগুলো হামলার শিকার হলো- লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাসের বহুতল ভবন।
সাবেক ছাত্রনেতা লোটাসের ভবন ছাড়া অন্য নেতাদের ভবনগুলোতে ৪, ৫, ৬ অগাস্ট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ সময় ভাঙচুরের ঘটনা দেখতে শতে শতে উৎসুক জনতা বাড়িগুলোর সামনে ভিড় করেন। এ সময় ভাঙচুর চলাকালে ছাত্র-জনতাকে গগণবিধারি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। শেখ হাসিনার আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও শেখ হাসিনার ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান এলাকা প্রকম্পিত করে তোলেন।
এ সময় ভাঙচুরের ঘটনা চলাকালের ঘটনায় চকবাজার থেকে উত্তর স্টেশন সড়ক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যায়। এর আগেই পল্লী বিদ্যুৎ কে জানানো হলে বাজারের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ অগাস্ট জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু নেতাকর্মীদের নিয়ে তার বাসার ছাদ থেকে মিছিলে গুলি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় তাদের ছোঁড়াগুলিতে প্রাণ হারান ১২ জন ছাত্র জনতা ।
সূত্র জানায় টিপু বাহিনর গুলি শেষ হয়ে যাওয়ার পর ওইদিন বিকালে ছাত্র-জনতা বাড়িটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। গুলিতে সেই দিন চার শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ সময় সংঘর্ষে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় গণপিটুনি ও আগুনে আরও আটজন মারা যায়।