ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নবীগঞ্জে ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা: আতঙ্কে ১২টি পরিবার
কলাপাড়ায় জলবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৬০ পরিবার পেল ত্রান সহায়তা
পঞ্চগড়ে কাগজিয়াপাড়া গোরস্থান থেকে ৫ টি কঙ্কাল চুরি
বাগমারায় আসামি ছিনিয়ে হত্যা,মামলার প্রধান আসামি আত্রাই থেকে গ্রেপ্তার
পিরোজপুরে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন
দলীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে সকলকে অগ্রসর হতে হবে-ড.ওবায়দুল ইসলাম
কুড়িগ্রামে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে ২ ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি
জাতীয় প্রাথমিক পদক প্রতিযোগিতায় দেশ সেরা হলেন কুড়িগ্রামের আব্দুল্লাহ রাদ বিন রাজু
সুন্দরবনে বনবিভাগের বিশেষ অভিযানে হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার
শেরপুরে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনে পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম
এনসিপি বোদা উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠিত
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন আফছার আলী
নাইক্ষ্যংছড়িতে চোরাকারবারির সাথে বিজিবির গোলাগুলিতে আহত-৪, হামলাকারী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মৃতিচারণ সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন
লক্ষ্মীপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত

ভুল রিপোর্টে পা হারাল এক শিক্ষার্থী

পিরোজপুরের নেছারাবাদে(স্বরূপকাঠি) হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে মো. জিহাদুল ইসলাম (১৪) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী পা কেটে ফেলতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) জিহাদের সহপাঠীরা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘেরাও করে। পরে সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

জিহাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম মিলন মিয়ার ছেলে।

সে স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট অ্যাকাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্র।
জিহাদের বাবা মিলনের জানান , ২০ দিন আগে তার ছেলে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ডান পায়ে ব্যথা পান। চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডান পায়ের গোড়ালি এক্সরে করার জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। পরীক্ষা করানোর জন্য তারা জিহাদকে হাসপাতাল সংলগ্ন হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে যান।

সেখানে টেকনেশিয়ান তার পায়ের গোড়ালির পরিবর্তে হাটুর এক্সরে করেন। হাসপাতালের ডাক্তার সে রিপোর্ট অনুযায়ী হাঁটু ব্যান্ডেজ করে দেন।
কয়েকদিন পর তার পায়ে পচন ধরে। অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখতে পায় জিহাদের পায়ের গোড়ালির রগ ছিড়ে গিয়েছিল।

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসায় তার পায়ের ভেতর পচে গেছে। পরে সেখানকার ডাক্তাররা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জিহাদের পা হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলেছেন। এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চান জিহাদের বাবা।
হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘ওই ছেলের কথামতো এক্সরে করে দিয়েছি। ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন দেখে এক্সরে না করায় আমাদের ভুল হয়েছে।’

এ বিষয়ে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলার সিভিল সার্জনের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শেয়ার করুনঃ