ঢাকা, সোমবার, ৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
আমতলীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা
মিরসরাইয়ে স্বপ্নের খৈয়াছড়া’র কার্যকরী পরিষদ গঠন, সভাপতি জাহেদ সম্পাদক নুর আহমেদ
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ছবির শেখকে গণপিটুনি
দেহ ব্যবসায়ীদের আস্তানা গুড়িয়ে ও পুড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী
আত্রাইয়ের আকাশ থেকে পড়ল বিরল আকৃতি’র শীলা
ফেনী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অর্ধদিনব্যাপী সাড়াশি অভিযান
নওগাঁ-ঢাকা বাস কাউন্টারে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিমের অভিযান
নবীনগরের সাংবাদিক গোলাম মোস্তফার ইন্তেকাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ১১ সদস্যের কমিটি গঠন
বোয়ালমারীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা,নিহতের পরিবারের দাবি খুন
বিস্ফোরক আইনের মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেফতার
রাজবাড়ীর সাবেক এমপি কেরামত কাজী গ্রেফতার
পল্লবী থানার বিশেষ অভিযানে ৩০ মামলার আসামিসহ ১২জন গ্রেফতার
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে পিআরপি’র সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক
ঘোড়াঘাটে আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থার র্নিবাচনে সভাপতি লুইস :সম্পাদক মাইকেল

ভুল রিপোর্টে পা হারাল এক শিক্ষার্থী

পিরোজপুরের নেছারাবাদে(স্বরূপকাঠি) হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে মো. জিহাদুল ইসলাম (১৪) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী পা কেটে ফেলতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) জিহাদের সহপাঠীরা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘেরাও করে। পরে সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

জিহাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম মিলন মিয়ার ছেলে।

সে স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট অ্যাকাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্র।
জিহাদের বাবা মিলনের জানান , ২০ দিন আগে তার ছেলে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ডান পায়ে ব্যথা পান। চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডান পায়ের গোড়ালি এক্সরে করার জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। পরীক্ষা করানোর জন্য তারা জিহাদকে হাসপাতাল সংলগ্ন হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে যান।

সেখানে টেকনেশিয়ান তার পায়ের গোড়ালির পরিবর্তে হাটুর এক্সরে করেন। হাসপাতালের ডাক্তার সে রিপোর্ট অনুযায়ী হাঁটু ব্যান্ডেজ করে দেন।
কয়েকদিন পর তার পায়ে পচন ধরে। অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখতে পায় জিহাদের পায়ের গোড়ালির রগ ছিড়ে গিয়েছিল।

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসায় তার পায়ের ভেতর পচে গেছে। পরে সেখানকার ডাক্তাররা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জিহাদের পা হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলেছেন। এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চান জিহাদের বাবা।
হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘ওই ছেলের কথামতো এক্সরে করে দিয়েছি। ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন দেখে এক্সরে না করায় আমাদের ভুল হয়েছে।’

এ বিষয়ে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলার সিভিল সার্জনের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শেয়ার করুনঃ