
রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন মাদানি এভিনিউ এর পাশে ২৫ দশমিক ৯০ কাঠা জমি বায়না সূত্রে ক্রয় করেন মো.মোজাম্মেল হক (৩২)। তবে তার ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখল করে সাইনবোর্ড স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে ইউনাইটেড গ্রুপের ল্যান্ড ডিরেক্টর মহসিনসহ নেপচুন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লি.এর ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বায়না সূত্রে মালিক দাবি করা মো. মোজাম্মেল হক সরকারী সার্ভেয়ার দিয়ে জমির সীমান্ত নির্ধারণ করার জন্য অভিযুক্ত মো.মহসিনসহ অভিযুক্তদের মুঠোফোনে ডাকলেও তাদের কাছ থেকে কোন ধরনের সারা মেলেনি বলে জানান তিনি। ফলে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সরকারী সার্ভেয়ার দিয়ে জমির সীমানা নির্ধারনের পরও নেপচুন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টের অভিযুক্তরা জমি দখল করতে গেলে বাঁধা দিলে অভিযুক্তরা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ বায়না সূত্রে মালিক মো.মোজাম্মেল হক-এর।
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী মো.মোজাম্মেল হক।
লিখিত অভিযোগে মোজাম্মেল হক বলেন,আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। আমি প্রায় ১ মাস আগে জনৈক মো. ফরিদ আহম্মেদ এর কাছ থেকে বাড্ডা থানাধীন মাদানি এভিনিউ ২ নং ব্রীজের পার্শ্বে ২৫ দশমিক ৯০ কাঠা জমি বায়না সূত্রে ক্রয় করি। উক্ত জমি ক্রয় করার পর হতে বিবাদী মো.মহসিন (৪৫) সহ নেপচুন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের কিছু অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জন মিলে আমার জমি জোর করে দখল করার পায়তারা করে আসছিল। কিছুদিন আগে বিবাদী সহ অজ্ঞাতানামা ৮ থেকে ১০ জন বিবাদী মিলে আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার জমি জোর পূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা করে।
আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বিবাদী মো. মহসিনকে জমি দখল করার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে আমাকে সঠিক উত্তর না দিয়ে প্রনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে এবং আরো বলে যে,তাহাদের জমির কিছু অংশ আমার জমির ভিতরে আছে।
পরবর্তীতে আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সরকারী সার্ভেয়ার দিয়ে জমির সীমান্ত নির্ধারণ করার জন্য বিবাদীকে ফোন করে জমিতে আসতে বললে বিবাদী জমিতে আসবে না বলে জানাই।
পরে গত ২৪ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল ৭টার সময় বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার জমিতে প্রবেশ করে তাদের কোম্পানীর নামে ৩ টি সাইনবোর্ড স্থাপন করে। আমি লোক মারফতে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের আমার জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাহ সহ প্রাণ নাসের হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় সাক্ষীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সথে আলাপ আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি বলেও উল্যেখ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা পাওয়া যায়নি।
ডিআই/এসকে