ঢাকা, শনিবার, ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
আমতলীতে হুমকির বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ
ইসরায়েলি পন্য বয়কটের দাবিতে পল্লবী থানা যুবদলের বিক্ষোভ
কালিগঞ্জের লম্পট গৌরপদ মন্ডল গ্রেফতার
বিরামপুরে শ্রমিক দলের ঈদ পুনর্মিলনী
আত্রাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির ওপর হামলা গ্রেপ্তার-১
বোয়ালমারীতে গলায় ফাঁস নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলবায়ু যোদ্ধাদের গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক-র‍্যালি
বাকাশিবোর চেয়ারম্যান হওয়ায় শুভেচ্ছাও অভিনন্দন পেয়েছেন প্রকৌশলী রুহুল আমিন
বান্দরবানের কালাঘাটায় বিএনপির অফিস ভাংচুরের প্রতিবাদে-নাইক্ষ্যংছড়িতে বিক্ষোভ
রামপুরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর চাঁদা দাবী,উদ্ধারে পুলিশ
রূপসায় ফিলিস্তিনে নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
কালিগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলন ও মতবিনিময় সভা 
বঙ্গোপসাগরে ডাকাতের কবলে পড়া ফিশিং ট্রলারসহ ৬৭ জেলেকে উদ্ধার করলো কোস্ট গার্ড
দুই কিলোমিটার ধাওয়া করে ছিনতাইকারীকে ধরলো সেনাবাহিনী
নওগাঁয় পরকীয়ার বলি সন্ধ্যা কে ফিরে পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইগাতীতে মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে আসামি পক্ষের হুমকি

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষের লোকদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হতদরিদ্র এক বাদির পরিবার।
জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার সকালে নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামের হোটেল শ্রমিক মিন্টু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম তার বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে বসে রোদ পোহাচ্ছিলেন। এসময় প্রতিবেশি প্রভাবশালী মোস্তাফিজুর ফাতেমা বেগমকে উত্ত্যক্ত করে।
ফাতেমা বেগম এঘটনার প্রতিবাদ করলে মোস্তাফিজুরের মামা শ্বশুর পিয়ার আলীসহ তার লোকজন ফাতেমা বেগমকে বেধড়ক মারধর ও টানাহেছড়া করে। ফাতেমা বেগমের স্বামী মিন্টু মিয়া ও আশপাশের লোকজন ফিরাতে এলে তাদেরকেও মারধড় করা হয়। উভয়ের সংঘর্ষে গুরুতরভাবে আহত হন ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী মিন্টু মিয়া।
স্থানীয়রা আহত ফাতেমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এব্যাপারে ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে পিয়ার আলীসহ ৫ জনকে আসামী করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এবং মামলা তুলে নিতে বাদি ফাতেমা বেগমও তার পরিবারের লোকজনকে গ্রামছাড়া করার পাশাপাশি নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ফাতেমা বেগম জানান, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে আসামি পিয়ার আলীর সহযোগী একই গ্রামের মোস্তফার নেতৃত্বে ৪/৫ জন তার বাড়িতে আসেন। এসময় তারা ফাতেমা বেগমকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনার পর থেকে ফাতেমা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এবিষয়ে মোস্তফার সাথে কথা হলে তিনি বলেন ফাতেমা বেগমকে আমরা কোন হুমকি দেইনি। আমরা মামলাটি আপোষ করার প্রস্তাব নিয়ে ফাতেমা বেগমের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আসামি গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই শফিকুল ইসলাম বলেন আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুনঃ