ঢাকা, শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নওগাঁয় পরকীয়ার বলি সন্ধ্যা কে ফিরে পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
বরগুনায় জলবায়ু ন্যায়বিচার দাবিতে তরুণদের ২২ সংগঠনের ধর্মঘট
কালীগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কারে যুবকরা
মেলান্দহে বৈশাখী মেলা শুরুর আগেই গাঁজা বিক্রির হিড়িক
সরাইলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে চির বিদায় নিলেন জসিম উদ্দিন
বিএনপি নেতার উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
রংধনু গ্রুপের হেড অফ মিডিয়া ও নৃত্যপরিচালক সাইফুল আটক
১৮ রোহিঙ্গাসহ ২১ ইয়াবা পাচারকারী আটক
মোহাম্মদপুরে দিনব্যাপী সাড়াশি অভিযান,গ্রেফতার ১৩
বদলে যাচ্ছে পুলিশের লোগো,বাদ পড়ছে নৌকা
মডেল মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয়,রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপরাধে গ্রেফতার: ডিএমপি
অবশেষে হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫, আয়োজনে কাটছাঁট
সারাদেশে সেনা অভিযানে ৭ দিনে গ্রেফতার ৬০৮
মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম গ্রেফতার
আমতলীতে পরীক্ষার হলে না গিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন

সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশন গুলোতে মাস শেষে তীব্র যানজট

সিলেট নগরীর প্রতিটি ফিলিং স্টেশন গুলোতে মাস শেষে তীভ্র যানটজট দেখা দিয়েছে। প্রতি মাসের শেস সপ্তাহে এ ভোগান্তীর শিকার হতে হয় ফিলিং স্টেশন মালিক পক্ষ ও সকল ধরণের পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। মাস ফুরানোর আগেই গ্যাস দেওয়ার সীমা (বরাদ্দ) শেষ হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে প্রতি মাসের শেষের দিকে বন্ধ থাকছে কোন না কোন পাম্প। যেগুলোতে গ্যাস রয়েছে, সেখানে দীর্ঘ লাইন। এতে করে নগরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। যার কারণে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিক-চালক ও যাত্রীরা।
১৭ বছর আগের চুক্তি অনুযায়ী সিলেটের সিএনজি স্টেশনগুলো গ্যাস বরাদ্দ পাচ্ছে। এর মধ্যে যানবাহন দ্বিগুণের বেশি বাড়লেও বরাদ্দে হেরফের হয়নি। ফলে মাস ফুরানোর আগেই গ্যাস দেওয়ার সীমা (বরাদ্দ) শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে কেউ দুই থেকে চার দিন, কেউবা এক সপ্তাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখছেন সিএনজি স্টেশন। গ্যাস সংগ্রহ করতে গিয়েই অর্ধেক দিন পার হয়ে যাচ্ছে তাদের। সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে এখন এমন দুরবস্থা।
মালিকরা জানিয়েছেন,২০০৭ সাল থেকে সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে পরিবহনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে সিলেট বিভাগে রয়েছে অর্ধ শতাধিক ফিলিং স্টেশন। গত এক দশক ধরে নতুন কোনো পাম্পের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে তারা বার-বার গ্যাস বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিক আবেদন জানালেও কোনো কাজ হয়নি। বরং দিন দিন সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা কঠোর আন্দোলনের চিন্তা-ভাবনা করছেন।
অন্যদিকে ২০০৭ সালের তুলনায় বর্তমানে সড়কে গাড়ি বেড়েছে চারগুণ। অথচ ২০০৭ সালের দেয়া লোড দিয়েই গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ কারণে ফিলিং স্টেশনের মালিকরা প্রতি মাসের শেষ ১০ দিন গ্যাস সংকটে পড়েন। তারা জানিয়েছেন, বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রতি ফিলিং স্টেশনের মালিকদের জন্য লোড নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর বাইরে যেসব পাম্প গ্যাস বিক্রি করেন তাদের জরিমানার মুখে পড়তে হয়।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী জানান, গ্যাস বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকও করা হয়েছে। জাতীয় সংকটের দোহাই দিয়ে তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। দেশের প্রায় ৭০ ভাগ গ্যাস সিলেট থেকে গ্রিডে সংযোজন হচ্ছে। কিন্তু সিলেটে গ্যাস সংকটে সিএনজি পাম্পগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক। পাম্পগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

শেয়ার করুনঃ