ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
বোয়ালখালীতে বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা পরিদর্শন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা পৌর বিএনপির যৌথ সভা
উলিপুরে ব্রীজের পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে দিয়ে মাটি ভরাটের অভিযোগ
পলাশবা‌ড়ি‌তে আন্ডার পাসের দাবী‌তে সমা‌বেশ অনু‌ষ্ঠিত
পিরোজপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার
কালীগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে হত্যা,আটক ১
চাপাতি ঠেকিয়ে তরুণীর সোনার চেইন ও ব্যাগ ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল
ট্রেনে পুলিশ সদস্যের অশালীন অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ভাইরাল, যা বলল পুলিশ
ব্যারিস্টার সারোয়ারের বক্তব্যে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ
মুজিবনগর দিবসে আনসার বাহিনীর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ
১৮ হাজার টাকার মধ্যে পানিরোধী স্মার্টফোন সি৭৫এক্স আনল রিয়েলমি
পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের সম্পাদক সাংবাদিক আবু হাসান আর নেই
কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি
কাঁঠালিয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
শাহআলীতে পূর্বশক্রতার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ৭

সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক’শ বসতবাড়ী স্কুল মসজিদ ও ফসলী জমি

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বহরমপুর গ্রাম। ইতিপূর্বে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক শত বসতবাড়ী ও শত শত বিঘা ফসলী জমি, বহরমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহরমপুরের কয়েকটি জামে মসজিদ, লক্ষ টাকার গাছের বাগান, পুকুরের মাছসহ নানান স্থাপনা। এতে গত কয়েক বছরে নি:স্ব হয়েছেন কয়েক হাজার নদীর তীরের বাসিন্দা। বাপের ভিটামাটি ও বাপ দাদার কবরের চিহ্নটুকো হারিয়ে নি:স্ব হয়েগেছে।

নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বারবার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দারস্থ হলেও এখনো মেলেনি কোনো টেকসই সমাধান। গত ২০২৩ সালে ৫ অক্টোবার জয়নাল আবেদীন মৃধার বাড়ী ঘর ভেঙে নদীতে চলে যায়, তখন তার বাড়ীর সামনে জরুরি ভিত্তিতে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা ভাঙন রোধে তেমন কোনো কাজে আসেনি।

নদীর তীরের বাসিন্দা বহরমপুর গ্রামের রহমান মৃধা বলেন, আমার বাপ দাদার কবরের শেষ চিহ্নটুকোও মুছে যাওয়ার পথে। সব সম্পদ হারিয়েও এখন এই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়েও হেরে যাচ্ছি আমরা। তিনি আরও বলেন, বহরমপুর মৌজায় বাপ দাদার নামে ১০০বিঘার বেশি জমি ছিলো যার প্রায় পুরোটাই নদীর গর্ভে চলে গেছে। এখন আমাদের থাকার যায়গা নাই সব সুগন্ধা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, আমরা দ্রুত এই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

ভাঙন ঝুকিতে দিন কাটানো নদী তীরের আরেক বাসিন্দা মতলেব লস্কর বলেন, আমার বাপ দাদার সব কিছু নদীর পেটে চলে গেছে। বৃদ্ধা মায়ের শেষ ইচ্ছার কারনে আমরা এখনো ঝুকি নিয়ে এখানে বসবাস করছি। যেকোনো সময় এই শেষ চিহ্নটিও ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়ার শংকায় আছি। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।

বহরমপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মাসুম লস্কর শাহাজাদা বলেন, এ পর্যন্ত অনেকবার পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে কিন্তু সরকারি কোন সংস্থা ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে, এখন বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আকুল আবেদন অতি দ্রুত বহরমপুর জয়নাল মৃধার বাড়ী, লস্কর বাড়ি, এবং বহরমপুর খান বাড়ী মসজিদ রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম জানান, ভাঙন রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হবে এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল বারি জানান, এই স্থানটিতে ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের মাধ্যমে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিলো।ওই স্থানে টেকসই প্রকল্পের কাজও প্রকৃয়াধীন রয়েছে যা শিঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করছি।

শেয়ার করুনঃ