
পটুয়াখালীতে এক নির্মাণাধীন ভবনের ৫ তলা থেকে পড়ে আহত হয়ে এক নির্মাণ শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তির পড়ে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনা টি ঘটেছে ২০ অক্টোবর রবিবার। সুত্রে জানা গেছে, উক্ত নির্মাণ শ্রমিকের নাম ইদ্রিস মৃধা, পিতা- আলী মৃধা, সাং – চর মৈশাদী, কমলাপুর, থানা ও জেলা – পটুয়াখালী। এ নির্মাণ শ্রমিক উক্ত দিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন পটুয়াখালী পৌর শহরের পুরান বাজারের আলোচিত ব্যবসায়ী মোঃ হারুন মুন্সী’র ভবনে।
আর তাকে এ ভবনের মালিকের বাসায় কাজ নিয়ে ছিলেন বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন পটুয়াখালী জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ কামাল হোসেন।সুত্রে আরও জানা গেছে, এদিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটার পড়ে ময়নাতদন্ত ( পোস্টমর্টেম) ছাড়াই তার মরদেহ প্রভাব বিস্তার করে তড়িঘড়ি করে তার বাড়িতে নিতে সহায়তা করেন ডাঃ জিয়াউর রহমান ওরুপে জিয়া ডাক্তার এমনটিই সুত্রে জানা গেছে। আর এ জিয়া ডাক্তার এর বাড়ি কমলাপুর ইউনিয়নে এবং উক্ত মৃত ইদ্রিস মৃধা’র বাড়ির সনিকটে।এমনকি এই জিয়া ডাক্তার গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী সেন্টারে নির্বাচনের দিন মেডিকেল টিমের দোয়াই দিয়ে সারাক্ষন উপস্থিত থেকে সব রকম সহায়তা দিয়ে তার এক পছন্দের ইউপি সদস্য কে নির্বাচনে জয়লাভ করান তিনি। এদিকে উক্ত দিন হাসপাতাল থেকে ইদ্রিস মৃধার মরদেহ হাসপাতাল থেকে নেওয়ার সময় তাকে চাচা বলে পরিচয় দেন এই জিয়া ডাক্তার। পরিশেষে ২০ অক্টোবর রাতে ইদ্রিস মৃধার জানাজার নামাজ রাত সাড়ে ৮ টায় তার গ্রামের বাড়ির এলাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে তাকে তাদের পারিবারিক কবর স্হানে সমাহিত করা হয় বলে জানা যায়। সুত্রে আরও জানা, এ নির্মাণ শ্রমিক ইদ্রিস মৃধার মৃত্যুর পরে তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে এবং বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন পটুয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ জালাল তালুকদার ও কোষাধ্যক্ষ মোঃ কামাল হোসেন তাকে পুঁজি করে বানিজ্যে করেন বলে সুত্রে জানা গেছে।আর তারা একে অপরের যোগ সাজেসে ময়নাতদন্ত( পোস্টমর্টেম) ছাড়াই হাসপাতাল থেকে ইদ্রিস মৃধার মরদেহ গ্রহণ করে উক্ত ভবন মালিকের থেকে বড় অংঙ্কের অর্থের সুযোগ সুবিধা নিয়ে তারা নিশ্চুপ হয়ে যায় বলে জানা যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিজ্ঞ মহলের অনেকের থেকেই প্রশ্ন উঠেছে (১) কত টাকার বিনিময় ৫ তলা থেকে পড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরে মারা যাওয়া ইদ্রিস মৃধার ময়না তদন্ত (পোস্টমর্টেম) হলো না এমনকি তার পরিবারের কেউ বা কেনও তার মরদেহর ময়না তদন্ত( পোস্টমর্টেম) করতে চাই লো না?।(২) কত টাকার মালিক এবং কত বড় ক্ষমতাশালী উক্ত ভবন মালিক মোঃ হারুন মুন্সী যে তার ক্ষমতা ও অর্থের কাছে নতজানু হয়ে ইদ্রিস মৃধার পরিবারের সদস্যরা ও বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন পটুয়াখালী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ইদ্রিস মৃধার মরদেহ ময়নাতদন্ত ( পোস্টমর্টেম) ছাড়াই গ্রহণ করলেন এবং তার দাফন সম্পন্ন করলেন?। ( ৩)ডাঃ জিয়াউর রহমান ওরুপে জিয়া ডাক্তার এরই ক্ষমতার উৎস কি যে তিনি পুলিশ কেস এর একটা ঘটনা হওয়া সত্বেও সেটা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে হাসপাতাল থেকে ইদ্রিস মৃধার মরদেহ তার পরিবারের সদস্যদের গ্রহণ করতে সহায়তা করলেন?। নির্মাণ শ্রমিক ইদ্রিস মৃধা’র এলাকায় গিয়ে এবং বহু খোঁজা খুঁজি করে তার পরিবারের কোন ও সদস্যর সাথে এ বিষয় জানতে কথা বলা যায়নি এমনকি তাদের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করতে না পাড়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উক্ত বিষয় জানতে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন পটুয়াখালী জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও সাব কন্টাক্টর এবং যার সাথে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ইদ্রিস মৃধা সেই মোঃ কামাল হোসেন এর মুঠোফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয় জানতে বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন পটুয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ জালাল তালুকদার এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা লেখবে।এই কথা বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উক্ত নির্মাণ শ্রমিক ইদ্রিস মৃধা কে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তার এক সহ কর্মী মোঃ মাছুম, বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার সি অফিস এলাকায় তার মুঠোফোন নম্বর হাসপাতালে ভর্তির রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয় উক্ত নির্মাণ শ্রমিক মাছুম এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইদ্রিস মৃধার মৃত্যুর পর তার মরদেহ তার ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করেছেন। তিনি এ সময় আরও বলেন, ইদ্রিস মৃধার মরদেহ ময়নাতদন্ত ( পোস্টমর্টেম) ছাড়াই হাসপাতাল থেকে নামাতে সকল কাগজ পত্রে সই দেন জিয়া ডাক্তার, তিনি ইসলামীয়া হাসপাতালে বসেন। এই কথা বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, ইদ্রিস মৃধা আমার কিছু হয় না, তিনি যে হাসপাতালে মারা গেছেন সে হাসপাতালে আমি বসি না,আমি বসি পুলিশ হাসপাতালে। এই কথা বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।