ঢাকা, শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
বিএনপি নেতার উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
রংধনু গ্রুপের হেড অফ মিডিয়া ও নৃত্যপরিচালক সাইফুল আটক
১৮ রোহিঙ্গাসহ ২১ ইয়াবা পাচারকারী আটক
মোহাম্মদপুরে দিনব্যাপী সাড়াশি অভিযান,গ্রেফতার ১৩
বদলে যাচ্ছে পুলিশের লোগো,বাদ পড়ছে নৌকা
মডেল মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয়,রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপরাধে গ্রেফতার: ডিএমপি
অবশেষে হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫, আয়োজনে কাটছাঁট
সারাদেশে সেনা অভিযানে ৭ দিনে গ্রেফতার ৬০৮
মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম গ্রেফতার
আমতলীতে পরীক্ষার হলে না গিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন
ফুলবাড়ীতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাঝে গরু বিতরণ স্থগিত
মোরেলগঞ্জে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে ফরিদ-মিলন প্যানেলের গণসংযোগ
দুলালপুর উচ্চ বিদ্যাঃ প্রথম দিনের এসএসসি পরীক্ষায় উপস্থিত ৩৮৯, অনুপস্থিত-১০
পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
নাইক্ষ্যংছড়িতে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ভাবে শুরু, প্রথম দিন অনুপস্থিত ১৭

ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক

ডেস্ক রিপোর্ট : একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি ও লেখক শাহরিয়ার কবিরকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাতে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে তাঁকে আটক করেছে বনানী থানা পুলিশ।

আটকের পর শাহরিয়ার কবিরকে রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।

২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ‘নির্বিচারে হত্যা ও লাশ গুম করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে’র অভিযোগ যে ক’জনের নামে আনা হয়েছে তাদের মধ্যে শাহরিয়ার কবিরের নাম রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় করা এ সংক্রান্ত আবেদনে পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের নাম রয়েছে।

গত ২০ আগস্ট এ আবেদন করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধূরী।

আবেদনে ঘটনার তারিখ হিসেবে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং স্থান হিসেবে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে এক থেকে ২৪ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা শহরব্যাপী ব্ল্যাক আউট করে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণে হত্যা, লাশগুম করে গণহত্যা চালায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।

আসামির তালিকায় রয়েছে– সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক ও বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সদস্য মুনতাসীর মামুন ও তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, একাত্তর টিভির এমডি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির আহমেদ জোবায়ের, এবি নিউজের সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের নাঈমুল ইসলাম খান, বিজিবির সাবেক ডিজি ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি এম মনজুর আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কতিপয় বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ সদস্য এবং তৎকালীন কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নীতি নির্ধারক।

শেয়ার করুনঃ