ঢাকা, সোমবার, ৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
কখনও পুলিশ,কখনও আবার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা,অবশেষে গ্রেফতার
রাজবাড়ী-২ আসনে আবুল খানকে বিএনপির প্রার্থী চান সাধারণ জনগণ ও নেতারা
মহেশখালীতে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ ২ ডাকাত আটক
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রূপসায় বিক্ষোভ মিছিল
ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে কয়রায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল
দীঘলিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
আদালতের আদেশ অমান্য করে আমতলীর আমড়াগাছিয়া হোসাইনপুর খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সের জমি দখল করে নারীর ঘর নির্মাণ
আমতলীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
কলাপাড়ায় চাচার পায়ের রগ কর্তন করলেন ভাতিজা
হোমনায় ‘ফিলিস্তিনে’ ইসরাইলের আগ্রাসন ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
বাগমারায় সভাপতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং জেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে দায়িত্ব অর্পণ অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে কলমাকান্দায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশ ও ধর্মঘট কর্মসূচি
লালমনিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত গ্রেফতার ১
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ আগ্রাসনের প্রতিবাদে পবিপ্রবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন
তাড়াশে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল

নান্দাইলে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুললেন মাদ্রাসার শিক্ষক

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চপই দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক মো. আব্দুল গাফফার যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।তবে অত্র মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশীদ ও ম্যানেজিং কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিমের সহায়তায় হাজিরা খাতায় অভিযুক্ত শিক্ষকের স্বাক্ষর জালিয়াাতির (একদিনে সব হাজিরার স্বাক্ষর) মাধ্যমে বেতন ভাতা উত্তোলন করা হয়। এতে করে সরকারের মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ৮২০ টাকা অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে বলে
অভিভাবক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। জানাগেছে, শিক্ষক আব্দুল গাফফার ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর এই মাদরাসায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে হাজিরা খাতা ও বেতন বিলের শিটে নিয়মিত স্বাক্ষর করে ব্যাংক থেকে মাস প্রতি ১৭ হাজার ৬২০ টাকা বেতন উত্তোলন করেছেন।বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষক বুধবার দুপুরে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে অপরাধ ঢাকতে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, সব শিক্ষক -কর্মচারী নিয়মিত উপস্থিত থাকেলেও আব্দুল গাফফার নামে কোনো শিক্ষক কে তারা কখনো দেখেনি। বিষয়টি জানতে পেরে নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে শীঘ্রই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অপরদিকে চপই মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি চিনু মিয়া বলেন, ওই শিক্ষক যোগদানের দিন কয়েক ঘণ্টার জন্য ছিলেন। এরপর আর কখনো দেখা যায়নি। কিন্তু সুপার ও সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম মিলে অনুপস্থিত শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে প্রতি মাসেই বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল গাফফারকে একাধিকবার কল
করেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে নান্দাইল চপই দাখিল মাদরাসার সুপার হারুন অর রশিদ জানান, শিক্ষক গাফফার একবারে আসেননি, সেটা সঠিক নয়। মাঝেমধ্যে এসে স্বাক্ষর করে গেছেন। তাহলে মাস শেষে বেতন উত্তোলন করলেন কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মাদরাসার অভ্যন্তরীণ বিষয়। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কৃষ্ণ পাল
জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ জানার পর মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল। তবে এক দিন পর ওই শিক্ষক সুপার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শুনেছি। এছাড়া আমার বরাবরও একটি অভিযোগ পত্র রয়েছে। সুপারকে বলেছি, কেন ওই বিষয়টি তিনি হাইড করেছেন, তা ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য।

শেয়ার করুনঃ