ঢাকা, শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ইসরায়েলি পন্য বয়কটের দাবিতে পল্লবী থানা যুবদলের বিক্ষোভ
কালিগঞ্জের লম্পট গৌরপদ মন্ডল গ্রেফতার
বিরামপুরে শ্রমিক দলের ঈদ পুনর্মিলনী
আত্রাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির ওপর হামলা গ্রেপ্তার-১
বোয়ালমারীতে গলায় ফাঁস নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলবায়ু যোদ্ধাদের গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক-র‍্যালি
বাকাশিবোর চেয়ারম্যান হওয়ায় শুভেচ্ছাও অভিনন্দন পেয়েছেন প্রকৌশলী রুহুল আমিন
বান্দরবানের কালাঘাটায় বিএনপির অফিস ভাংচুরের প্রতিবাদে-নাইক্ষ্যংছড়িতে বিক্ষোভ
রামপুরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর চাঁদা দাবী,উদ্ধারে পুলিশ
রূপসায় ফিলিস্তিনে নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
কালিগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলন ও মতবিনিময় সভা 
বঙ্গোপসাগরে ডাকাতের কবলে পড়া ফিশিং ট্রলারসহ ৬৭ জেলেকে উদ্ধার করলো কোস্ট গার্ড
দুই কিলোমিটার ধাওয়া করে ছিনতাইকারীকে ধরলো সেনাবাহিনী
নওগাঁয় পরকীয়ার বলি সন্ধ্যা কে ফিরে পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
বরগুনায় জলবায়ু ন্যায়বিচার দাবিতে তরুণদের ২২ সংগঠনের ধর্মঘট

ঝালকাঠিতে সন্ধ্যা হলেই গাবখান সেতুুতে নামে’ অন্ধকার’

বাংলার সুয়েজ খালখ্যাত গাবখান নদীর ওপর নির্মিত হয় পঞ্চম চীন মৈত্রী সেতু। সেতুর ওপর দুর্ঘটনা এড়াতে এবং চলাচলকারীদের সুবিধার্থে ৬২টি লাইট পোস্ট স্থাপন করা হয়। বর্তমানে সেই ৬২টি লাইট পোস্টের ৪৩টি অকেজো রয়েছে এবং সচল রয়েছে ১৯টি। তারমধ্যেও কয়েকটি নিভু নিভু জ্বলে। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯১৮ মিটার, দীর্ঘতম স্প্যান রয়েছে ১১৬ দশমিক ২০ মিটার (যা দেশের সর্বোচ্চ), নিম্নতম স্প্যান রয়েছে ৩০ মিটার।২৪টি পিলার ও দুটি অ্যাবাটমেন্ট রয়েছে। ক্যারেজওয়ে রয়েছে ৭ দশমিক ৫০ মিটার। প্রতি পার্শ্বে সাইড ওয়াক রয়েছে ১ দশমিক ২৫ মিটার। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ১৮ মিটার। ৮১ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণের ভিত্তিফলক উন্মোচন করে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেতুর উদ্বোধন করেন।স্থানীয়রা জানান, সেতু উদ্বোধনের ২২ বছর অতিবাহিত হতেই বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। সন্ধ্যা হলেই সেতুর ওপর নেমে আসে অন্ধকার। এ কারণে প্রায় সময়ই ছোটোখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

গাড়ি চালক মোহাম্মদ হোসেন গাজী জানান, আমাদের গাড়ির হেডলাইটের মাধ্যমে অন্যান্য সড়কের মতো পথ দেখে চলতে হয়। সড়কের বাতি না থাকায় বাঁকে বাঁকে চলার সময় ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে।

অটোচালক মামুন হাওলাদার জানান, গাবখান ব্রিজের ওপরের বাতিগুলো নষ্ট যাওয়ায় অন্ধকার থাকে বেশিরভাগ জায়গায়। ব্রিজ পারাপারের সময় সামনে থেকে পরিবহন বা ট্রাক এলে তখন কিছু চোখে দেখা যায় না। তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

মোটরসাইকেল চালক মিজানুর রহমান জানান, ব্রিজে উঠলেই দেখা যায় বাতিগুলো জ্বলে না। সামনে থেকে বড় কোনো গাড়ি এলে তখন আর চোখে কিছু দেখা যায় না। মাথায় হেলমেট থাকলে সবকিছু তখন ধোয়া দেখা যায়। পাশে মোটরসাইকেল রেখে অনেকেই বাতাস উপভোগ করেন। সড়ক বাতি না থাকলে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। নতুন চালক হলে তো দুর্ঘটনা থেকে রেহাই নেই। অনেকদিন ধরে এমন অবস্থা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না পড়লে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান জানান, সেতুর বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। বাতি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুনঃ