ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
রাঙ্গাবালীতে দাখিল পরীক্ষায় অনিয়ম, ১৪ শিক্ষার্থী সাসপেন্ড, ৫ শিক্ষককে জরিমানা
বোয়ালখালীতে বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা পরিদর্শন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা পৌর বিএনপির যৌথ সভা
উলিপুরে ব্রীজের পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে দিয়ে মাটি ভরাটের অভিযোগ
পলাশবা‌ড়ি‌তে আন্ডার পাসের দাবী‌তে সমা‌বেশ অনু‌ষ্ঠিত
পিরোজপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার
কালীগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে হত্যা,আটক ১
চাপাতি ঠেকিয়ে তরুণীর সোনার চেইন ও ব্যাগ ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল
ট্রেনে পুলিশ সদস্যের অশালীন অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ভাইরাল, যা বলল পুলিশ
ব্যারিস্টার সারোয়ারের বক্তব্যে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ
মুজিবনগর দিবসে আনসার বাহিনীর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ
১৮ হাজার টাকার মধ্যে পানিরোধী স্মার্টফোন সি৭৫এক্স আনল রিয়েলমি
পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের সম্পাদক সাংবাদিক আবু হাসান আর নেই
কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি
কাঁঠালিয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

রাজাপুরে মেয়ের মৃত্যুর কারন জানতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে ইউসুফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিনথিয়া আক্তার (১৪) মৃত্যুর কারন জানতে এবং জড়িতদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহত সিনথিয়ার মা আসমা বেগম শহরের একটি রেস্তরায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সিনথিয়া আক্তার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট কৈবর্তখালী এলাকার মোঃ মিজানুর রহমানের মেয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসমা বেগম জানান, গত বছরের ২৪ আগষ্ট তার ছোট মেয়ে সিনথিয়ার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার স্বজনরা। সেই সময়ে আমি চাকুরির সুবাদে ঢাকায় ছিলাম এবং সিনথিয়া তার দাদির কাছে থেকে লেখাপড়া করতো। উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী এলাকার মহারাজ তালুকদারের ছেলে রাকিব তালুকদারের সাথে আমার প্রেমের ও শাররিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রাকিব বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মানসিক নির্যাতন শুরু করতো। কিন্তু সে কিভাবে মারা গেলো তা আজও জানতে পারিনি। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছেলো নাকি মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সিনথিয়া আত্মহত্যা করলো তা জানতে পারিনি। রাকিবের কারনেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এ মৃত্যুর দায় সে কোনভাবেই এড়াতে পারে না। আমার মেয়ের মরদেহ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রাজাপুর থানার এস আই হেলাল আমার মেয়ের স্কুলে গিয়ে মেয়ের সহপাঠিদের এবং আমার বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন এবং তাদেরকে ভয় ভিতি দেখায়। ২৪ আগষ্ট রাতেই রাজাপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয় এবং সেই মামলার তদন্তের দ্বায়িত্ব দেয়া হয় এস আই রফিককে। এস আই রফিক আমার মেয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আনার জন্য ৭ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে আমার কাছে। পরবর্তীতে আমার মেয়ে সিনথিয়ার বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু স্যারতে দিয়ে ডেকে রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনে অভিযুক্তদের পক্ষে ইন্দ্রপাশার নান্নু হাওলাদার টাকার বিনিময়ে আপোস মিমাংসার আফার দেয়। অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিলে বলে ছোট মেয়ের ভাল চাইলে চুপচাপ থাকতে। গত ১ বছর যাবৎ আমি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এর জন্য এসআই রফিকের কাছে বার বার বললেও তিনি কোনো পাত্তা না দিয়ে উল্টো আমাকে গালমন্দ করে। এখন পুলিশ প্রশাসেনর কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারন উদঘাটন করে জড়িতদের বিচার দাবি জানিয়েছেন আসমা বেগম।

রাজাপুর থানার এসআই হেলাল জানান, তৎকালীন ওসি পুলক চন্দ্র রায়ের নির্দেশে তাৎক্ষনিক ওই ছাত্রীর বাড়ি ও স্কুলে গিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করি আমি। এ কারনে ওই ছাত্রীর মা আমাকে দিয়ে মৃত্যুর কারন ও অপমৃত্যুর মামলাটি তদন্ত করার দাবি করেছিলো। বর্তমানে ঘটনাটির তদন্তবার এসআই রফিক পাওয়ায় আসমা বেগম এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতেছে।

রাজাপুর থানার এসআই রফিক টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট এসেছে। যার অনুলিপি ওই ছাত্রীর মাকে নিতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুনঃ