
কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে রাজশাহীর মোহনপুরে হামলা, ভাঙ্গচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার বিকেলে এঘটনা ঘটানো হয়। দুষ্কৃতকারীরা প্রথমে মোহনপুর থানার সামনে টং দোকান ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। সেই আগুনে থানার জানালা ও দেয়াল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পর উপজেলা ভূমি অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং সহকারী কমিশনারের সরকারি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তার পর মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে অগ্নিসংযোগ এবং অফিসের পাশে রাখা মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে কেশরহাট পৌর ভবন। দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা গেছে পৌর ভবন। ময়লা পরিস্কার করা গাড়ি, ভ্যান, ট্রাক্টর আসবাব ও কাগজপত্র সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। কেশরহাটে হেনা এন্টারপ্রাইজ মোটরসাইকেল শোরুম থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল তুলে নিয়ে আগুন দেয়া হয়। এরপর সর্বশেষ আক্রমণ করা হয় রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে। পরিষদ ভবনের আসবাবপত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে যায়। রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার দেলোয়ার হোসেনকে কিছু জন্মনিবন্ধন রেজিস্ট্রার নিজ হেফাজতে নিতে দেখা গেছে। নয়টি রেজিস্ট্রারের মধ্যে অধিকাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে পাঁচ শতাধিক আক্রমণকারী পায়ে হেঁটে প্রায় পনেরো কিলোমিটার জুড়ে ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে। বিকেল চারটার পর রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ, পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, ডিবি, বিজিবি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মাগরিবের আজানের সময় আবাররো মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ব্যরিগেড দেয় আন্দোলনকারীরা। আতং ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। তবে পুলিশ সামনে আগায়নি। যার কারণে রাত সাড়ে সাত’টার দিকে আন্দোলনকারীরা সরে পড়ে। তবে হতাহত বা প্রতিরোধের কোন খবর পাওয়া যায়নি।