
নড়াইল সদর উপজেলার হাট-বাজার, গ্রামের দোকান-পাট, সর্বত্রই এখন নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব। অবাধে বিক্রি এবং ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ এই পলিথিন। সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবখানেই পন্য সামগ্রির সাথে দেওয়া হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। ফলে রাস্তাঘাট নদীনালা বাড়ির আঙ্গিনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে পলিথিনের আবর্জনা। পলিথিন ব্যাগের ক্ষতিকর বিষয় সমূহ বিবেচনা করে ২০০২ সালে সরকারি সিদ্ধান্তে সকল প্রকার পলিথিনের উৎপাদন, আমদানি, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য পরিবহন, বিক্রির জন্য প্রদর্শন ও ব্যবহার সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই আইন না মানলে রয়েছে জেল জরিমানার বিধান। অথচ এই আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজার গুলাতে দিদারছে বিক্রি হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। পৌরসভার হাট-বাজারসহ উপজেলার সর্বত্রই প্রকাশ্যে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। নড়াইল পৌরসভা রুপগন্জ বাজার, পুরাতন বাস টার্মিনাল বাজার, চৌরাস্তা বাজার, গাড়ুচুরা বাজারসহ সদর উপজেলার ২০ থেকে ২২টি বাজার ঘুরে পলিথিন ব্যাগের ছড়াছড়ি দেখা যায়। মাছ, ডিম, মাংস, তরকারি, পান-সুপারি, মিষ্টি পণ্যসহ প্রায় সবই বিক্রি হচ্ছে পলিথিন ব্যাগে। বাজার ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের অধিকাংশ মানুষের হাতেই পলিথিন ব্যাগ। তরকারি, মাছ, মাংস, ডিম যেটাই কিনছেন তার জন্য আলাদা আলাদা পলিথিন ব্যাগ। বাজারের একাধিক ব্যাবসায়ীরা জানান, বেশিরভাগ ক্রেতারা ব্যাগ ছাড়াই বাজারে আসেন পণ্য বিক্রির জন্য পলিথিনের ব্যাগ দিতে হচ্ছে। বাজার করতে আসা এক ব্যেক্তি জানান, বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিকল্প কিছু না থাকায় পলিথিনের এত ছড়াছড়ি। এ বিষয় নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান জানান, পলিথিন মাটিতে পঁচে না এবং মাটির উর্বর শক্তি কমিয়ে ফেলে। যার ফলে ফসল উৎপাদনে ব্যাহত হয় সেই সাথে পরিবেশ ও দুষন হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর নড়াইল এর সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, নড়াইলে আমাদের দপ্তরে লোকবল কম যার কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে, তারপরও নিষিদ্ধ এই পলিথিন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের অভিযান চলমান আছে।