ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
বোয়ালখালীতে বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা পরিদর্শন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা পৌর বিএনপির যৌথ সভা
উলিপুরে ব্রীজের পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে দিয়ে মাটি ভরাটের অভিযোগ
পলাশবা‌ড়ি‌তে আন্ডার পাসের দাবী‌তে সমা‌বেশ অনু‌ষ্ঠিত
পিরোজপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার
কালীগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে হত্যা,আটক ১
চাপাতি ঠেকিয়ে তরুণীর সোনার চেইন ও ব্যাগ ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল
ট্রেনে পুলিশ সদস্যের অশালীন অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ভাইরাল, যা বলল পুলিশ
ব্যারিস্টার সারোয়ারের বক্তব্যে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ
মুজিবনগর দিবসে আনসার বাহিনীর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ
১৮ হাজার টাকার মধ্যে পানিরোধী স্মার্টফোন সি৭৫এক্স আনল রিয়েলমি
পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের সম্পাদক সাংবাদিক আবু হাসান আর নেই
কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি
কাঁঠালিয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
শাহআলীতে পূর্বশক্রতার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ৭

দীর্ঘ ১৮ বছরেও চালু হয়নি ইন্দুরকানীর কলারন -সন্ন্যাসী ফেরিঘাট

দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কলারন-সন্ন্যাসী ফেরিঘাট। বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরেও চালু হয়নি ফেরি চলাচল। ফলে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছে এই রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর সংলগ্ন পানগুচি নদীতে কলারন-সন্ন্যাসী ফেরি ঘাটটি ২০০৬ সালের ৪ আগস্ট চালু হয়। চালুর এক বছর মাথায় প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরে ঘাটটি প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ফেরি চলাচল। এরপর প্রায় ১৮ টি বছর কেটে গেলেও চালু হয়নি পিরোজপুর-মোরেলগঞ্জ- শরণখোলা রুটের এই ফেরি চলাচল। প্রত্যেকদিন ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয় এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। দুই পাড়ের যাত্রী উঠানামার ঘাটটিও রয়েছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। যাত্রীরা কোনমতে উঠানামা করতে পারলেও মটর সাইকেল উঠানামার ক্ষেত্রে থাকে ব্যপক ঝুঁকি। দুই পাড়ের ঘাটের অবস্থা ভাল না থাকায় অনেক সময় নদীতে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় যাত্রীদের।

সন্ন্যাসীর পাড়ের যাত্রীদের ট্রলারে নদী পাড় হয়ে কলারন ঘাট থেকে বাসে উঠে পিরোজপুর জেলা সদর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ডিও লেটার এবং দীর্ঘদিন যাবত সংশ্লিস্ট দপ্তরের চিঠি চালাচালিতেও অদ্যাবধি চালু হয়নি ফেরি চলাচল।
স্থানীয় কলারন আবাসনের বাসিন্দা মোতালেব জোমাদ্দার বলেন, নদী পার হতে ট্রলারই তাদের একমাত্র ভরসা। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমের বৈরী আবহাওয়ায় ট্রলার প্রায়ই বন্ধ থাকে। বর্ষার সময় নদীতে বেশি ঢেউ থাকায় ট্রলারে করে নারী ও শিশুদের নিয়ে নদী পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
বারবার আশ্বাসের পরও অজানা কারণে চালু হয়নি ফেরি চলাচল। যার ফলে অসুস্থ নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের নিয়ে প্রায়শই সমস্যা পড়তে হয়।

শেয়ার করুনঃ