ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
মোহাম্মদপুর সাড়াশি অভিযান,নারীসহ গ্রেফতার ১০
তুরিন আফরোজের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা,আসামি দেবর গ্রেফতার
সারাদেশে দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৯ জন গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর রায়পুরে বিএনপির দু-পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২ , আহত ৩০
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে সড়ক নির্মাণে বিএসএফের বাধা
জাদুকাটায় খনিজ বালি উক্তোলনকালে ১০ লাখ মূল্যের দুই ড্রেজার জব্দ
তুরিন আফরোজের ফেসবুকে সরকারবিরোধী প্রচারণা পাওয়া গেছে:ডিসি উত্তরা
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেপ্তার
নবীনগরে আ”লীগ পরিবারের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় সরকারি কর্মকর্তা,প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
বকশীগঞ্জ ইউএনওর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের
ঝিকরগাছায় আল একরা মডেল একাডেমির উদ্যোগে প্রোটেস্ট মার্চ অনুষ্ঠিত
উলিপুরে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে হরতাল-বিক্ষোভ

ইউরোপের কথা বলে লিবিয়ায় পাঠিয়ে মুক্তিপণ নিতেন তিনি

ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় আটকে অমানবিক নির্যাতন ও দেশের স্বজনদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের প্রধান মোহাম্মদ মাহাবুব পাঠানকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

গত ২৮ জুন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (১ জুলাই ) সন্ধায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিআইডির পুলিশ সুপার মো.আজাদ রহমান।

পুলিশ সুপার মো.আজাদ জানায়,মাহাবুব পাঠান দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে লিবিয়ায় অবস্থান করে লিবিয়ার বেনগাজীর বাংলাদেশি কমিউনিটিকে নেতৃত্ব প্রদানের আড়ালে মানবপাচার চক্র পরিচালনা করছিলেন। চক্রটি বাংলাদেশিদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে লিবিয়া নিয়ে গিয়ে আটক করত। এরপর তাদের আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন করে নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ আদায় করত। মুক্তিপণ আদায়ের পর বিপজ্জনক নৌযাত্রার মাধ্যমে ইউরোপে পাঠানোর চেষ্টা করত।

তিনি জানান,২০২১ সালের ১৭ মে ভূমধ্যসাগরে তিউনিসিয়া উপকূলে মাহাবুব পাঠানের চক্রের শিকার ৬৪ বাংলাদেশিসহ ১০৪ জন অভিবাসী তিন সপ্তাহ ধরে ভাসতে থাকা অবস্থায় উদ্ধার হন। পরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় তিউনিসিয়ায় থাকা এসব বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়। তাদের মধ্যে মিলন ব্যাপারী নামে একজন ভুক্তভোগীর পরিবার তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সিআইডির তদন্তে জানা যায়,চক্রটি মিলন ব্যাপারী ও অন্যান্য ভিকটিমদেরকে এমিরেটস বিমানে করে প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। এরপর দুবাই হতে বিমানযোগে মিশর হয়ে লিবিয়ার বেনগাজী নিয়ে যায়। লিবিয়ার বেনগাজীতে মূলহোতা মাহাবুব পাঠান ও তার সহযোগীরা মাহাবুব পাঠানের ক্যাম্পে তাদেরকে আটক রাখে এবং শারীরিক নির্যাতন করে। পরে সেই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে ভিকটিমদের পরিবারের নিকট পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

২০২১ সালের মে মাসে মিলনের মা বিউটি আক্তার ও চাচী মনি বেগম আসামিদের দেওয়া ব্যাংক প্রায় ৩ লাখ এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চক্রের সদস্য হেনা বেগমকে নগদ ৪ লাখ টাকা প্রদান করে। এরপর আসামি মাহাবুব পাঠান ও তার সহযোগীরা সুকৌশলে বাদীসহ অন্যান্য ভিকটিমদের ইতালিতে পাঠানোর কথা বলে দ্বিতীয় পর্যায়ে লিবিয়ার ত্রিপলিতে এই চক্রের সক্রিয় সদস্য মনিরের ক্যাম্পে পাঠায়, সেখানে বাদী ও ভিকটিমদের নিয়ে আটক করে দ্বিতীয় দফায় শারীরিক নির্যাতন করে আরও ৪ লাখ টাকা আদায় করে।

টাকা দেওয়ার ১৫ দিন পর মিলনকে ইতালির উদ্দেশ্যে ভূমধ্যসাগরে হাওয়ায় (বাতাসে) ভাসা একটি প্লাস্টিক নৌকায় আরও কয়েকজনের সঙ্গে তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে মিলন ইতালিতে রয়েছেন।

উক্ত অভিযুক্ত মোহাম্মদ মাহবুব পাঠান বিজ্ঞ আদালতে ফৌ:কা:বি:১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com