ঢাকা, শুক্রবার, ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
মোহাম্মদপুরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান,গ্রেফতার ৩২
কর্ণফুলী নদীর চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ৫ দিন বন্ধ থাকিবে ফেরি চলাচল
হোমনায় ২০ কেজি গাঁজসহ মাদক কারবারি আটক
কালীগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল গ্রেপ্তার
বিরামপুরে বালুভর্তি মেসি’র চাপায় একশিশু নিহত
বনশ্রীতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক আসামি গ্রেফতার
এক যুগ ধরে গুম:ওয়ারেন্ট নিয়ে বিএনপি নেতার বাসায় যাওয়া পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
প্রাইমএশিয়ার পারভেজ হত্যা: শিক্ষার্থী ফারিয়া হক টিনা গ্রেফতার
ঝিকরগাছায় দাদার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, ধামাচাপার চেষ্টায় প্রভাবশালীরা
খুলনায় দেশ সংযোগ পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
পার্বতীপুরের হরিরামপুর ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী
হোটেল আমারিতে পুলিশ-ডিএনসির যৌথ অভিযান চলছে
পুলিশ সার্জেন্টের সঙ্গে দুর্ব্যবহার : দুই যুবকের কারাদণ্ড
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: তদন্ত কমিটি গঠন, এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার
নোবিপ্রবি’তে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা

শিশুর পাকস্থলী ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় আসা রোহিঙ্গা পরিবার গ্রেফতার

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়াবা বহনের অভিযোগে কক্সবাজার থেকে আসা একটি রোহিঙ্গা পরিবারের ছয় সদস্যকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। পরিবারটির সঙ্গে থাকা শিশুসহ তিনজনের পেট থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসার পর তাদের আটক করা হয়।

শুক্রবার ( ৩ নভেম্বর ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।

জিয়াউল হক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নভো এয়ারের কক্সবাজার ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরন করে পরিবারটি। অবতরনের পর এয়ারপোর্ট এপিবিএন এর গোয়েন্দা দলের সন্দেহ হলে নজরদারিতে পড়েন তারা। এসময় তাদের আটক করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরিবারটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ইয়াবা বহন বা কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। নিজেদেরকে তারা একটি বাঙালি পরিবার হিসেবেও দাবী করেন। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হয় পরিবারটি ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত আছে। এই সন্দেহ থেকে পরিবারের চার সদস্যকে বিমানবন্দরের সংলগ্ন উত্তরার একটি বেসরকারি প্যাথলজি সেন্টারে পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

এসময় ডাক্তারি পরীক্ষায় শিশু মো. রুবেল(১৫), তার ফুফু আছিয়া বেগম(২৫) এবং তার চাচী জোহুরা বেগমের(৩০) পাকস্থলীতে অস্বাভাবিক বস্তুর উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে স্বীকার করেন যে, তারা পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করছেন।

জিয়াউল হক আরও বলেন, ইয়াবা বহনের ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দেয়ার পর তাদের জাতীয়তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলেও স্বীকার করেন। ছয় সদস্যের এই পরিবার ইয়াবা বহনের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন আছিয়া বেগমের স্বামী আলী আহমদ(২৮)। এসময় আছিয়া বেগমের সঙ্গে তার দুগ্ধপোষ্য শিশু উমায়ের হোসেন(৭মাস) এবং জহুরা বেগমের দুগ্ধপোষ্য শিশু উম্মে ছালমাও(১০ মাস) তাদের সঙ্গে ছিল। জাতীয়তা এবং ইয়াবা বহনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি দল। সেখানে উল্লেখিত তিন রোহিঙ্গা নাগরিকের পাকস্থলী থেকে ডাক্তারের তত্ত্বাবধায়নে মোট ১৩০ টি ইয়াবার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এইসব ইয়াবার প্যাকেট থেকে ৬ হাজার ২৭৫ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। শিশু মো. রুবেলের পাকস্থলীতে থাকা ৪০ প্যাকেটে মোট ১ হাজার ৯৩০ পিস, আছিয়ার পাকস্থলীতে ৫২ প্যাকেটে মোট ২ হাহজার ৫১১ পিস এবং জহুরা বেগমের পাকস্থলীতে ৩৮ প্যাকেটে ১ হাজার ৮৩৪ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

অভিযুক্ত সকলেই মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। সকলেই কক্সবাজার টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ