ঢাকা, সোমবার, ৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নবীনগরে আ”লীগ পরিবারের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় সরকারি কর্মকর্তা,প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
বকশীগঞ্জ ইউএনওর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের
ঝিকরগাছায় আল একরা মডেল একাডেমির উদ্যোগে প্রোটেস্ট মার্চ অনুষ্ঠিত
উলিপুরে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে হরতাল-বিক্ষোভ
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদল কর্মীকে দাওয়াত না দেওয়ায় অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে হরতাল-বিক্ষোভ
ইসরায়েল বাহিনী কতৃক নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের গণহত্যার প্রতিবাদে নাইক্ষ্যংছড়িতে বিশাল সমাবেশ
পাঁচবিবিতে গাঁজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ
কলাপাড়ায় এসএসসি পরীক্ষায় দ্বায়িত্ব গ্রহণকারী শিক্ষকদের কর্মশালা
কখনও পুলিশ,কখনও আবার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা,অবশেষে গ্রেফতার
রাজবাড়ী-২ আসনে আবুল খানকে বিএনপির প্রার্থী চান সাধারণ জনগণ ও নেতারা
মহেশখালীতে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ ২ ডাকাত আটক
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রূপসায় বিক্ষোভ মিছিল
ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে কয়রায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

পঞ্চগড়ে’র তালমা নদীতে ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০০ মিটার তীর প্রতিরক্ষা কাজ সম্পন্ন

পঞ্চগড়ে ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই স্থানে মোট ৩০০ মিটার নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ সম্পন্ন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাওর বিভাগ পঞ্চগড়। সদর উপজেলার উত্তর তালমা হতে দক্ষিণ তালমা সংযোগ সড়কের পাশে বামন পাড়া এলাকায় তালমা নদীর পূর্ব তীর ১৫০ মিটার যার চুক্তি মূল্য ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং হাফিজাবাদ এলাকায় হাফিজাবাদ গহিমন নেছা দাখিল মাদ্রাসার পেছনে আম বাগানের পাশে নদীর পূর্ব তীরে ১৫০ মিটার যার চুক্তি মূল্য ৪২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, বামনপাড়া এলাকায় তালমা নদীর তীর রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আসন্ন বর্ষা মৌশুমে এই পাকা রাস্তা থাকতো না। নদীর তীর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে পাকা রাস্তার খুব কাছে চলে এসেছে।
এখানে থাকা বাড়িঘর গুলোর সবাই খুবই দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। অপর দিকে হাফিজাবাদ এলাকায় স্থানীয়দের আম বাগান সহ ফসলি জমির অনেক অংশ নদী ভাঙ্গনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই নদীর তীর রক্ষা কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এখন আর ক্ষয়ক্ষতি হবে না।
সকলে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড পঞ্চগড়ে’র অনেক প্রশংসা করেন। তালমা নদীর বিভিন্ন অংশে এরকম ঝুঁকিপূর্ণ আরো কিছু স্থান রয়েছে। সেসব স্থানে নদীর তীর রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান স্থানীয় সকলেই। তবে কিছু কিছু স্থানে বালি মহাল না থাকা সত্যেও অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের কারনেও নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও তীর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বোলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাওর বিভাগ পঞ্চগড় এর নির্বাহী প্রকৌশলি আশুতোষ বর্মন বলেন, প্রজেক্ট বিহীন নদীর অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় তালমা নদীর দুটি স্থানে ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০০ মিটার স্যান্ড সিমেন্ট গানি ব্যাগ পদ্ধতিতে তীর রক্ষার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কম খরচে এবং স্বল্প সময়ে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ স্থান গুলোতে এই পদ্ধতিতে কাজ করা হয়।
সার্বক্ষণিক তদারকি করে কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে কাজ করা হয়েছে। তার পরেও চুড়ান্ত ভাবে কাজের মান পর্যাবেক্ষনের মধ্যে দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমরা কাজ বুঝে নিবো।

নদীর অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থান গুলোর সমীক্ষা প্রকল্প চলমান রয়েছে। সমীক্ষা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে স্থায়ী ভাবে তীর রক্ষার জন্য বরাদ্দ সাপেক্ষে কাজ করা হবে।

শেয়ার করুনঃ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com