ঢাকা, শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
বোদায় বিএনপি দলকে চাঙা করতে তৃণমূলে সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ছে
নওগাঁয় তিন গ্রামের একমাত্র সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: নেই কোনো পাকা রাস্তা
মাধবপুরে ট্রাক পিকাপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪
কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার
খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচিতি সভা
সুন্দরবনে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা:সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ক্যাশিয়ার’ মোশাররফ গ্রেফতার
সেনা অভিযানে ৭ দিনে সারাদেশে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩৯০
“ইসরাইল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক ” স্লোগানে পিরোজপুরে প্রতিবাদ মিছিল
পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সাংগঠনিক সভা
পাঁচবিবিতে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে অবৈধ পরিচয়পত্র আটক,কেরানী বহিষ্কার
আত্রাইয়ে সিদ্ধেশ্বরী মোড় থেকে সামাদের মোড় পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা: জনদুর্ভোগ চরমে
কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শণ
ভূরুঙ্গামারীতে জামায়াতের সুধী সমাবেশ
আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের প্রতারণার কাজে লাগাচ্ছে চাইনিজরা

অনলাইনে জুয়া,পণ্য বিক্রি ও মার্কেটিং সাইট খুলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে আসছিল চাইনিজ একটি চক্র। চক্রটির `১২ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতারও করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় চক্রটির আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা সকলে বাংলাদেশী। তারা চায়নায় অধ্যায়নরত। তারা হলেন-রাতুল,রাজু ও মামুন। এই তিনজন ছাড়াও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের দিয়ে চাইনিজরা বিভিন্ন প্রতারণার কাজ করছে। তাদের কাজে লাগিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চাইনিজ সেই চক্র। তবে মুল ব্যক্তিরা এখনো অধরা। তিনজনকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

শুক্রবার রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার ( ১৬ মার্চ ) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিবির নিজ কাযালয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,চাইনিজরা যেহুতু এ দেশের ভাসা জানে না। তাই তারা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যারা সেখানে পড়তে যাচ্ছে (বিশেষ করে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়) তাদের তারা কাজে লাগাচ্ছে। কিছু শিক্ষার্থীকে সেখানে আবার কিছু দেশে পাঠিয়ে এ কাজ করছে। এজন্য যে বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন হয় সেই কাজটি সারছে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে। আর যেসব শিক্ষার্থী এসব কাজ করছেন তারা সাময়িক লাভের আশায় এসব করছে।

তিনি আরও বলেন,আমরা যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি তারা সেখানে গিয়েছিল এবং সেই দেশের ভাষা শিখেছে। চক্রটির সাথে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। তাদের মুলহোতা হলেন একজন চাইনিজ। তার নাম চিংচং। তিনি চায়নায় একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় তারা কিছু মানুষকে প্রলোভন দেখায়। স্বল্প সময়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আয় করে সেই টাকা আবার তারা ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে চায়নায় পাঠাতো। তারা মার্কেটিং সাইট,ব্যাটিং সাইট খুলে প্রতারণা করতো।

হারুন বলেন,তারা এ কাজে ৭০ থেকে ৮০ টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতেন। বিকাশ,নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাগুলো নিয়ে পরে ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে চায়নায় পাঠিয়ে দিতো। এরপর সেই মোবাইলগুলো তারা বন্ধ করে দিতো। এই চাইনিজদের অনেকে বাংলাদেশে গার্মেন্টসে চাকরী করে, বিভিন্নখানে চাকরী করে।

অভিযানে নেতৃত্বদেন সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইমে দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান আজাদ ও মোহাম্মদ সোলায়মান মিয়া।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ