ঢাকা, শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নওগাঁয় পরকীয়ার বলি সন্ধ্যা কে ফিরে পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
বরগুনায় জলবায়ু ন্যায়বিচার দাবিতে তরুণদের ২২ সংগঠনের ধর্মঘট
কালীগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কারে যুবকরা
মেলান্দহে বৈশাখী মেলা শুরুর আগেই গাঁজা বিক্রির হিড়িক
সরাইলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে চির বিদায় নিলেন জসিম উদ্দিন
বিএনপি নেতার উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
রংধনু গ্রুপের হেড অফ মিডিয়া ও নৃত্যপরিচালক সাইফুল আটক
১৮ রোহিঙ্গাসহ ২১ ইয়াবা পাচারকারী আটক
মোহাম্মদপুরে দিনব্যাপী সাড়াশি অভিযান,গ্রেফতার ১৩
বদলে যাচ্ছে পুলিশের লোগো,বাদ পড়ছে নৌকা
মডেল মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয়,রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপরাধে গ্রেফতার: ডিএমপি
অবশেষে হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫, আয়োজনে কাটছাঁট
সারাদেশে সেনা অভিযানে ৭ দিনে গ্রেফতার ৬০৮
মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম গ্রেফতার
আমতলীতে পরীক্ষার হলে না গিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন

খাগড়াছড়িতে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে ইফতার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের উদ্যোগে ও দিক নির্দেশনায় খাগড়াছড়ির সকল থানার এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে অফিসার ইনচার্জরা ইফতারের আয়োজন করেছেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মাহে রমজানের প্রথম ইফতারের দিন এ আয়োজন করা হয়।

এ সময় বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জগণ বলেন, আজকে পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন। পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে ও দিক নির্দেশনায় আমরা ইফতার বিতরণ করতে যাচ্ছি। আপনারা জানেন, সেবাই পুলিশের ধর্ম, পাশাপাশি পুলিশকে মানবিক পুলিশ এবং জনগণের পুলিশ নিদের্শনা রয়েছে। আমাদের পুলিশ প্রধানসহ রেঞ্জ ডিআইজি পুলিশ সুপারের নিদের্শনায় আমরা জনগণের কাছাকাছি এসে আমাদের সেবাগুলো জনগণের সেবায় পৌঁছে দিতে চাচ্ছি।

এর পাশাপাশি ইফতারের আয়োজন এ ইফতারের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সুবিধাবঞ্চিত এতিম শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটাতে চাচ্ছি। এরই লক্ষ্যে একটা সাধারণ প্রচেষ্ঠা হচ্ছে আজকের ইফতারের আয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি এতিম শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটানোর মাধ্যমে আমাদের যে প্রচেষ্ঠা এটা স্বার্থক হবে। এবং আমরা বিশ্বাস করি যে এই সাধারণ মানুষগুলোর হাসিতেই বাংলাদেশ হাসবে। আমরা আজ ৯ টি থানার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করি।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, এই এতিম শিক্ষার্থীরা ও চায় অন্য সব শিক্ষার্থীদের মতো স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে। কিন্তু তারা তা করতে পারে না। তাই এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে সকল থানার অফিসার ইনচার্জরা মিলে একসঙ্গে ইফতার করতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কারণ এই শিক্ষার্থীদের বাবা কিংবা মা যদি বেঁচে থাকতো তাহলে আজ তাদেরকে এতিম হতে হতো না।

আমি তাদের সেই পাওয়াটাকে একটু পূরণ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আগামীতেও এই এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই ধরণের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

তবে সরকারের পাশাপাশি আমরা যারা সমাজের বিত্তবানরা রয়েছি তারা সবাই যদি বিভিন্ন উৎসবে সাধ্যমতো সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এই এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়াই তাহলে এই শিশুদের যে কোন পরিবার নেই সেটা তারা বুঝতে পারতো না। এছাড়া একটি স্বপ্ন বুকে ধারণ করে তারা বড় হওয়ার অনুপ্রেরণাও পেতো।

এসময় বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুনঃ