
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সালিশে হট্টগোলে অসুস্থ হয়ে পড়েন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নাসির উদ্দীন খাদেম লিটন। অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
শনিবার (৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে রাত ৮টার দিকে তিনি পৌর শহরের খড়মপুর মাজার শরীফ মার্কেট কাম রেস্ট হাউজের হলরুমে সালিশ চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কাজী নাসির উদ্দীন খাদেম লিটন আখাউড়া পৌরসভার টানা তিন মেয়াদে কমিশনার ও কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি খড়মপুর কল্লা শহীদ মাজার শরীফের পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক ডাক্তার মাহিবুর রহমান মুবিন বলেন, ‘শনিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে নাসির উদ্দিন খাদেম লিটন নামে এক ব্যক্তিকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন তার কোনো পাল্স পাইনি। আমরা তাৎক্ষনিক ইসিজি করেও নীল (শূন্য) পাই। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ওই সালিশ সভার সভাপতি ও মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু বলেন, ‘সালিশ সভা চলাকালে দুপক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হট্রগোল হলে আমরা সালিশ মুলতবি করে দেই। পরে সবাই দুতলা থেকে নিচে নেমে যাওয়ার পর কাজী নাসির উদ্দিন খাদেম লিটন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ‘লিটন খাদেমের ছোট ভাই মাইনুদ্দিন খাদেম ও একই গ্রামের খাঁ বাড়ির ফোরকান খাদেমের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ওই সালিশ বসে। সালিশ চলাকালে ফোরকান খাদেমের পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে। এবং তারা সালিশ সভায় হট্টগোল করে সভাস্থল থেকে চলে যায়। এ অবস্থায় লিটন খাদেম অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।’
আওয়ামী লীগ নেতা কাজী নাসির উদ্দিন খাদেম লিটনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি সকালে এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।