ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
নবীগঞ্জে ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা: আতঙ্কে ১২টি পরিবার
কলাপাড়ায় জলবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৬০ পরিবার পেল ত্রান সহায়তা
পঞ্চগড়ে কাগজিয়াপাড়া গোরস্থান থেকে ৫ টি কঙ্কাল চুরি
বাগমারায় আসামি ছিনিয়ে হত্যা,মামলার প্রধান আসামি আত্রাই থেকে গ্রেপ্তার
পিরোজপুরে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন
দলীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে সকলকে অগ্রসর হতে হবে-ড.ওবায়দুল ইসলাম
কুড়িগ্রামে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে ২ ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি
জাতীয় প্রাথমিক পদক প্রতিযোগিতায় দেশ সেরা হলেন কুড়িগ্রামের আব্দুল্লাহ রাদ বিন রাজু
সুন্দরবনে বনবিভাগের বিশেষ অভিযানে হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার
শেরপুরে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনে পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম
এনসিপি বোদা উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠিত
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন আফছার আলী
নাইক্ষ্যংছড়িতে চোরাকারবারির সাথে বিজিবির গোলাগুলিতে আহত-৪, হামলাকারী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মৃতিচারণ সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন
লক্ষ্মীপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত

ভিক্ষায় চলে এতিম দুই ভাই-বোনের সংসার, সাহায্য দিলেন ইউএনও

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ভিক্ষায় চলে মা-বাবা হারানো এতিম দুই ভাই-বোনের সংসার। আর্থিক সাহায্য দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচঁরী রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিন চেচঁরী গ্রামের জমাদ্দার হাট এলাকায় বসবাস করেন মৃত সেকান্দার আলীর দুই সন্তান। মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী সালমা আক্তার (২০) ও ছেলে মাইনুল ইসলাম (১৮)। তাদের পিতা ১৫ বছর আগে মারা যায়। পিতা মারা যাওয়ার ঠিক ৩ বছরের মধ্যে মা মারা যায়। পিতা-মাতাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় দুই ভাই-বোন। অর্থের অভাবে শিক্ষার জন্য যাওয়া হয়নি প্রাথমিক স্কুলেও। জীবন যুদ্ধে দু’মুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ছোট থেকেই করতে হয়েছে ভিক্ষা।

পিতা সেকান্দার আলীর জমিজমা না থাকায় নানা বাড়িতে ছোট্ট ভাঙ্গা খুপরি ঘরে বসবাস করে চলছে তাদের করুণ জীবন। মাইনুলের বোন সালমা মানসিক রুগী তাই তাকে বাড়িতে রেখে একাই বিভিন্ন রাস্তা ঘাট, হাট-বাজার, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে টাকা জোগাড় করে সংসার চালায় মাইনুল। বোন মানসিক রুগী থাকায় ভিক্ষার টাকায় নিত্যপণ্যের বাজার ক্রয় করে বাড়িতে এসে তারই রান্না করে বোনকে নিয়ে খেতে হয়৷ এযেন করুণ জীবন কাহিনী। তাদের দেখার এবং পাশে দাড়াবার কেউ নেই।

তাদের কষ্টের কথা শুনে কাঁঠালিয়া উপজেলার স্থানীয় এক সংবাদকর্মী তার ফেসবুক একাউন্টে সমাজের বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই এতিম দুই ভাই বোনদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানান। ফেসবুকে পোষ্ট দেখে সাহায্যের হাত বারিয়ে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন। তিনি তার কার্যালয়ে মাইনুল ইসলামের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা তুলে দেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভিক্ষা না করে কর্মকরে টাকা আয় করে সংসার চালাতে পারে সেই পরিকল্পনায় এতিম দুই ভাই বোনের সরকারি অনুদানে একটি দোকান ঘর তৈরি করে দেওয়াসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

ইউএনওর কাছ থেকে নগদ টাকা পেয়ে খুঁশিতে মাইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছে ইউএনও স্যার। এই টাকায় আমাদের অনেক দিন চলে যাবে। আর এইকয়দিনে কষ্ট করে মানুষের দাঁড়ে দাঁড়ে ভিক্ষা করতে হবে না।

কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখতে পেয়ে বিষয়টি খুব খারাপ লাগলো। পোস্ট দাতারা সাথে যোগাযোগ করে এতিম মাইনুলকে নিয়ে অফিসে আসার কথা জানাই৷ অফিসে আসলে তার হাতে নগদ অর্থ তুলে দেই এবং ভিক্ষা না করে নিজে যাতে কর্মকরে খেতে পারে সেই উদ্যোগে একটি দোকান ঘর তৈরি করে দেওয়া সহ সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।

শেয়ার করুনঃ