ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
গুড়িয়ে দেওয়া হলো মিরপুর প্যারিস রোডের অবৈধ মেলার স্টল ও রাইড
কিশোরকে আটকে পুলিশ-সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদা দাবি,গ্রেফতার ৫
লক্ষ্মীপুরে চাঞ্চল্যকর স্পেন প্রবাসী হত্যা মামলার আসামী ফারুক গাজী গ্রেফতার
ফরিদপুরে হত্যা মামলার আসামী সিয়াম গ্রেফতার
মোহাম্মদপুর সাড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ১৭
সুদের টাকা পরিশোধ করতে অটোচালকে হত্যা, মূলহোতা গ্রেফতার
৫ বছর ক্ষমতায় থাকা নিয়ে আমি কিছু বলিনি,জনগণ বলেছে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ সংঘর্ষ নিয়ে যা বললো পুলিশ
এএসপি জাবেদ ইকবাল সাময়িক বরখাস্ত
সন্ত্রাসে মদতদাতা শরিফ-তাবরেজের উস্কানিতে পুলিশের ওপর হামলা,সেনা হস্তক্ষেপে আটক ৪
ভূরুঙ্গামারীতে নববর্ষ উদযাপন
কুড়িগ্রামের কচাকাটায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
নববর্ষে মোরেলগঞ্জে বিএনপির শোভাযাত্রার নেতৃত্বে খায়রুজ্জামান শিপন
কারাগারে বন্দিদের নিয়ে বৈশাখী উৎসব উদযাপন
মেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করল স্বামী

মা- দাদা-দাদির কবর রক্ষার দাবি স্বজনদের

ওয়ারিশ দাবি করে গোপনে জায়গা বিক্রি করায় মা, দাদা-দাদিসহ পূর্ব পুরুষদের কবর রক্ষার জন্য আদালদসহ মানুষের কাছে ঘুরছে একটি পরিবার ও তার স্বজনরা। পূর্ব পুরুষদের সমাধিস্থল নিশ্চিন্ন হওয়ার ভয়ে তাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। কবরের জায়গাটি ফেরত পাওয়ার জন্য আদালতে প্রিয়েমশান মামলাও করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এমন ঘটনা নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাপাসাটিয়া গ্রামে।

স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, কাপাসাটিয়া গ্রামের আঃ রহিমের ছেলে মিজানুর রহমান রঞ্জু, তার ভাই ও চাচাতো ভাইবোন কাপাসাটিয়া মৌজার ১৬৬ খতিয়ানের ২২ শতক জায়গায় পূর্বকাল থেকে বসবাস করছে। তার দাদা আব্দুল এর নামে এসএ ১৬৬ খতিয়ানে উক্ত জায়গাটি শুদ্ধ ভাবে প্রতাশিত ও প্রচারিত আছে। যার দাবিদার আব্দুল এর ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে। এর মধ্যে ছেলে মিজাজ আলী অবিবাহিত অবস্থায় মারা যায়।

এর পরে ওই জমি ওয়ারিশানরা এজমালিতে ভোগ দখল করছে। কিন্তু সম্প্রতি মিজানুরের ফুফাতো ভাই এমদাদুল হক ওয়ারিশ দাবি করে গোপনে কবরস্খানের ৩ শতাংশ ভূমি গ্রামের প্রভাবশালী শহিদ মিয়া ও জিয়াউর রহমানের কাছে বিক্রি করে দেন। কিন্তু গোপনে জায়গাটি বিক্রি করায়  মা ,দাদা-দাদিসহ পূর্ব পুরুষদের কবর রক্ষার জন্য আদালতে মামলা করেন মিজানুর রহমান ও তার স্বজনরা।

সোমবার সরজমিন কাপাসাটিয়া গ্রামে গেলে দেখা যায়, উক্ত ভূমিতে মিজানুর রহমান রঞ্জু তার ভাই ও চাচাতো ভাইদের ৫ টি বসত ঘর, ৪ টি রান্না ঘর, ২টি গোয়াল ঘর ও ২ টি দোকান ঘর রয়েছে। কিন্তু ওই জমির ৩ শতাংশ মিজানুরের ফুফাতো ভাই এমদাদ একই গ্রামের শহিদ মিয়া ও জিয়াউর রহমানকে দানপত্র দলিল রেজিঃ করে দেয়। এতে মিজানুর রহমান রঞ্জুর মা ও দাদা দাদীর কবরের স্থান শহিদ মিয়া দখলে নিতে চায়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা আঃ হক, ইকবাল মিয়া, ইমান আলীসহ অনেকেই জানান, ‘মিজানুরের মা ও দাদা দাদীর কবরের জায়গা তার ফুফাতো ভাই গোপনে আরেকজনকে দলিল করে দিয়েছে। কবরের পাশ দিয়েই তারা বাড়ি থেকে পাকা রাস্তায় বের হয় এবং কবর রক্ষা নিয়ে মিজানুরের পরিবার বেকায়দায় আছে।
জমির ক্রেতা শহিদ মিয়া জানান, ‘প্রত্যেক বাড়িতেই কবর আছে। এমদাদ বিক্রি করেছে তাই আমরা কিনেছি। এ নিয়ে তারা মামলা করেছে তাই বিষয়টি সেখানেই নিষ্পিত্তি হবে।’
বিক্রেতা এমদাদুল হক জানান, ‘টাকার বিনিময়ে আমি জমি বিক্রি করিনি। আমার অংশ দানপত্র দলিল করে দিয়েছি। এখানে আমার নানা নানীর কবর আছে। এই জমি তারা আমাকে ফেরত দিবে।’
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য নূর মিয়া জানান, ‘শহিদ মিয়া ও জিয়াউর রজমান গ্রামের লাঠিয়াল বাহিনী। মিজানুরের পরিবারকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য এমদাদের কাছ থেকে কৌশলে জায়গাটি নিয়েছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।’

শেয়ার করুনঃ