ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
রাঙ্গাবালীতে দাখিল পরীক্ষায় অনিয়ম, ১৪ শিক্ষার্থী সাসপেন্ড, ৫ শিক্ষককে জরিমানা
বোয়ালখালীতে বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা পরিদর্শন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা পৌর বিএনপির যৌথ সভা
উলিপুরে ব্রীজের পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে দিয়ে মাটি ভরাটের অভিযোগ
পলাশবা‌ড়ি‌তে আন্ডার পাসের দাবী‌তে সমা‌বেশ অনু‌ষ্ঠিত
পিরোজপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার
কালীগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে হত্যা,আটক ১
চাপাতি ঠেকিয়ে তরুণীর সোনার চেইন ও ব্যাগ ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল
ট্রেনে পুলিশ সদস্যের অশালীন অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ভাইরাল, যা বলল পুলিশ
ব্যারিস্টার সারোয়ারের বক্তব্যে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ
মুজিবনগর দিবসে আনসার বাহিনীর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ
১৮ হাজার টাকার মধ্যে পানিরোধী স্মার্টফোন সি৭৫এক্স আনল রিয়েলমি
পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের সম্পাদক সাংবাদিক আবু হাসান আর নেই
কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি
কাঁঠালিয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

ঝালকাঠি নির্বাচনের পনেরো দিন পর ঝুলছে প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টার

শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু এখনো ঝালকাঠি জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঝুলছে প্রার্থীদের পোস্টার। যার অধিকাংশই লেমিনেটিং। নির্বাচন শেষ হলেও এখনও পুরোপুরি ব্যানার-পোস্টারমুক্ত হয়নি ঝালকাঠি-১ আসন (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) উপজেলা। নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থীর নিজ উদ্যোগে পোস্টার অপসারণের নিয়ম থাকলেও কেউ সে আইন মানছেন না। পোস্টারগুলো পলিথিন দিয়ে মোড়ানোর কারণে সহজে নষ্ট হচ্ছে না। দ্রুত এসব পোস্টার অপসারণ করে পুড়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার রাস্তাঘাট, অলিগলি, দোকানপাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এখনও ঝুলছে ব্যানার, পোস্টার ও প্রার্থীর প্রতীক। এতে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে ঝালকাঠি-১ আসনের রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা। এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগও ঢিলেঢালা। সোমবার (২৯জানুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড এলাকা ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা গেছে। কিছু কিছু এলাকার রাস্তার ব্যানার-পোস্টার সরানো হলেও রয়ে গেছে অলিগলিতে।

সরেজমিন ঘুরে দেখাযায়, রাজাপুর উপজেলার বাইপাস মোড়, বাদুরতলা মোড়, উপজেলা মার্কেট, ডাকবাংলো মোড়, গার্লস স্কুল, থানার সামনে, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, পুরনো বাজার, মেডিকেল মোড় সহ বিভিন্ন বাজারে প্রার্থীর ব্যানার-পোস্টার এখনও ঝুলছে। কোথাও পোস্টার ছিঁড়ে ঝুলছে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে, কোথাও শুধু রশি ঝুলছে। কোথাও বড় বড় ব্যানার ও প্রার্থীর প্রতীক রাস্তার ওপর ঝুলছে। এছাড়া কোথাও পোস্টার মাটিতে পড়ে আছে।

দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১২ সনের ১ নং আইন এর বিশেষ বিধানের শেষের দিকে উল্ল্যেখিত আছে, তবে শর্ত থাকে যে, অনুমোদিত পোস্টার বা দেওয়াল লিখন নির্বাচন সম্পন্ন হইবার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক অপসারণ বা মুছিয়া ফেলা না হইলে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধারা ৬ এ বর্ণিত দণ্ড আরোপ করা যাইবে।

আইন থাকলেও আইনের কার্য্যকর ভূমিকা নেই বললেই চলে। নির্বাচন শেষ হলে আইন মানার বালাই থাকে না কারো মধ্যেই। প্রশাসনও নিরব হয়েযায় নির্বাচন পরবর্তি সময়গুলোতে।

শহরের বাসিন্দা সাজিত হোসাইন সাজ্জাত বলেন, নির্বাচন শেষ হয়েছে ৭ জানুয়ারি, কিন্তু এখনো ব্যানার ও পোস্টার অপসারণ করা হয়নি। রাজাপুর শহরজুড়ে পোস্টার লাগানো রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বা কোনো প্রার্থী পোস্টার অপসারণ করেননি। এতে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

রাজাপুর শহরের বাসিন্দা অহিদ সাইফুল বলেন, নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থীরা তাদের ব্যানার বা পোস্টার সরিয়ে ফেলবেন এমন একটা নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমরা খেয়াল করছি নির্বাচন শেষ হলেও সেগুলো অপসারণ করা হয়নি। যেগুলো লেমিনেটিং করা সেগুলো পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। পোস্টার নদীতে গেলে ভরাট হবে। আর ড্রেনে পড়লে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নষ্ট হবে।

এ বিষয় রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, আমরা মৌখিক ভাবে সকল প্রার্থীকে তাদের সব ব্যানার- পোস্টার সরানোর জন্য বলেছি। আমরা বিধি বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

শেয়ার করুনঃ