ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
বোয়ালখালীতে বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা পরিদর্শন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা পৌর বিএনপির যৌথ সভা
উলিপুরে ব্রীজের পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে দিয়ে মাটি ভরাটের অভিযোগ
পলাশবা‌ড়ি‌তে আন্ডার পাসের দাবী‌তে সমা‌বেশ অনু‌ষ্ঠিত
পিরোজপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার
কালীগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে হত্যা,আটক ১
চাপাতি ঠেকিয়ে তরুণীর সোনার চেইন ও ব্যাগ ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল
ট্রেনে পুলিশ সদস্যের অশালীন অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ভাইরাল, যা বলল পুলিশ
ব্যারিস্টার সারোয়ারের বক্তব্যে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ
মুজিবনগর দিবসে আনসার বাহিনীর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ
১৮ হাজার টাকার মধ্যে পানিরোধী স্মার্টফোন সি৭৫এক্স আনল রিয়েলমি
পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের সম্পাদক সাংবাদিক আবু হাসান আর নেই
কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি
কাঁঠালিয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
শাহআলীতে পূর্বশক্রতার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ৭

মিরসরাইয়ে অবৈধ মৎস্য ঘেরে বেজা’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কোটি টাকার মাছ সাগরে

মিরসরাইয়ে মৎস্যজোন খ্যাত মুহুরী প্রজেক্ট মৎস্য ঘের এলাকায় ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের সিডিএসপি বাঁধ ও সুপারডাইক এলাকার পাশে বেশ কিছু মৎস্য ঘেরের বাঁধ কেটে দেয়া হয়।
এতে স্থানীয় মাছ চাষীদের কয়েক কোটি টাকার মাছ পাশের সাগরে চলে যায় বলে অভিযোগ করেছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এতে মাছ চাষীরা কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে বেজা কর্মকর্তারা বলছেন এখানে সরকারি জমি দখল করে অবৈধ ভাবে মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে। পূর্বে তাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা বেজার নির্দেশনার তোয়াক্কা করেনি।
ওইদিন বিকালে সরেজমিন অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকার জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, এখানে বেশ কিছু মাছের ঘেরের পাড় কেটে দেয় বেজা কর্তৃপক্ষ। এসময় মাছ চাষী আজমল হোসেন ও নুরুল আবছার অভিযোগ করেন, তারা ২০ বছরেরও অধিক সময় এখানে মাছ চাষ করছেন। বেজা কর্তৃপক্ষ কোনরকম পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ মাছভর্তি ঘেরের পাড় কেটে দেয়। এতে তাদের কয়েক কোটি টাকার মাছ ও মাছের পোনা সাগরে পতিত হয়েছে।
মাছ চাষী আজমল হোসেন বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিঠাপানির মাছ চাষে আমাদের উদ্বুদ্ধ করছেন। অথচ এখানে কোটি কোটি টাকার মাছের ঘের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমাদের দাবি মুহুরী প্রজেক্ট মৎস্য ঘের এলাকাকে মৎস্য জোন ঘোষণা করে এটিকে রক্ষা করা হোক। কারণ এখানে চট্টগ্রামের মৎস্য খাদ্য চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ মাছ উৎপাদন হয়।
বেজার উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইয়াছিন জানান, সরকারি জমিতে তারা অবৈধভাবে মাছের ঘের তৈরি করেছে। ঘের মালিকদের গত বছর ডিসেম্বর থেকে মাছ সরিয়ে নিতে সময় দেয়া হয়েছিলো। তারা বেজার নির্দেশের কর্ণপাত করেনি। মঙ্গলবার আমরা বেজার আওতাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রথম দিন ১৫টি অবৈধ মাছের ঘের উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় প্রায় দশ হাজার একর মাছের ঘেরে বছরে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। সরকারের মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এ এলাকায় চট্টগ্রামের মৎস্য খাদ্য চাহিদার যোগান দেয় এই এলাকা থেকে।

শেয়ার করুনঃ