

মোঃ নূরবক্ত মিঞা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সেতু দেবে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পরেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও হাজারো পথচারীরা।সেতুটির নিচ থেকে মাটি ধসে দেবে যাওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের রুপার খামারে বামনি নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি নিচ থেকে মাটি ধসে যাওয়ায় সেতুটি দেবে যায়। ফলে, স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পরেছে।
ত্রাণ ও পুণর্বাসন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, রুপার খামার শোলেয়ারজাম এলাকায় মিনাবাজার হইতে মাঝবিল রাস্তায় মোহাম্মদ আলী মাষ্টারের বাড়ির পূর্বে বামনি নদীর ওপর ২০১১- ২০১২ অর্থ বছরে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৯২০ টাকা ব্যয়ে ৩৪ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি নদীটি খনন ও প্রবল বৃষ্ঠির কারনে সেতুর সংযোগ সড়কের মাথায় উইংওয়ালের মাটি সরে গিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে সেতুটি তলদেশ দিয়ে পানি প্রবাহ শুরু হলে ব্রিজটি দেবে যায়। এতে ভোগান্তিতে পরেন ধরনীবাড়ী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের ২০থেকে ২৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয় ইসলাম উদ্দিন ( ৫৮) বলেন, ব্রিজটির পূর্ব ও পশ্চিম পাশে রুপারখামার, বাড়াইপাড়া, হাজী পাড়া, জানজায়গীর, মধুপুর দালালীপাড়া, নেললিপাড়া, কামালখামার ও কেকতির পাড় সহ ২০থেকে ২৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই সেতুর ওপর দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা।
আসাদুল হাবিব ( ৩০) একজন মটর সাইকেল যাত্রী বলেেন, প্রতিদিন বাজারে যাই। ভয়লাগে কখন জানি সেতু থেকে পরে যাই। তাই সরকারের কাছে দাবি সেতুটি যেন ভালো করি দেয়।
শিক্ষাথী জসিম উদ্দিন,আলামিন, জনি,মোছা.কাকলি আক্তারসহ অনেকেই জানায়, সেতুটি দেবে যাওয়ায় আমাদের স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে আমাদের বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দুরুত্ব অনেক বেশি হওয়ায় অটোরিকশা ও বাইসাইকেলে করে যেতাম। এখন সেতুটির উপর দিয়ে যান চলাচল একদম বন্ধ হয়ে গেছে। তাই হেটে যেতে হয়।
ধরনী বাড়ী ইউনিয়নের মাঝবিল এলাকার রফিকুল ইসলাম (৫৭) আব্দুল আজিজ (৭২) বলেন,আমাদের খুব কষ্ট হইছে কৃষি জমি সেতুর ওপার হওয়ায় সার,তেলসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যেতাম অটোরিকসা বা অটোতে করে। এখন ঘারে করে নিয়ে যেতে হয়। এতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) খন্দকার মো. ফিজানুর রহমান জানান, নদীটিতে অপরিকল্পিত ভাবে খনন করায় এ ঘটনা ঘটছে। সেতুটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।