ঢাকা, শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ইসরায়েলি পন্য বয়কটের দাবিতে পল্লবী থানা যুবদলের বিক্ষোভ
কালিগঞ্জের লম্পট গৌরপদ মন্ডল গ্রেফতার
বিরামপুরে শ্রমিক দলের ঈদ পুনর্মিলনী
আত্রাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির ওপর হামলা গ্রেপ্তার-১
বোয়ালমারীতে গলায় ফাঁস নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলবায়ু যোদ্ধাদের গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক-র‍্যালি
বাকাশিবোর চেয়ারম্যান হওয়ায় শুভেচ্ছাও অভিনন্দন পেয়েছেন প্রকৌশলী রুহুল আমিন
বান্দরবানের কালাঘাটায় বিএনপির অফিস ভাংচুরের প্রতিবাদে-নাইক্ষ্যংছড়িতে বিক্ষোভ
রামপুরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর চাঁদা দাবী,উদ্ধারে পুলিশ
রূপসায় ফিলিস্তিনে নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
কালিগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলন ও মতবিনিময় সভা 
বঙ্গোপসাগরে ডাকাতের কবলে পড়া ফিশিং ট্রলারসহ ৬৭ জেলেকে উদ্ধার করলো কোস্ট গার্ড
দুই কিলোমিটার ধাওয়া করে ছিনতাইকারীকে ধরলো সেনাবাহিনী
নওগাঁয় পরকীয়ার বলি সন্ধ্যা কে ফিরে পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
বরগুনায় জলবায়ু ন্যায়বিচার দাবিতে তরুণদের ২২ সংগঠনের ধর্মঘট

ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস আজ

ডেস্ক রিপোর্ট : ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। ৫৫ বছর আগে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রদেশ পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা এবং ছাত্রসমাজের ১১ দফা দাবির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান নিহত হন। তাঁর আত্মদানের পর ছাত্র-শ্রমিক-জনতার লাগাতার আন্দোলনের মুখে ২৪ জানুয়ারি সারা বাংলায় গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এ দিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউরসহ দুজন শহীদ হন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন। দিনটি আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৬৯ সালের এই দিনে দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণা করেন। পূর্ব পাকিস্তানে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত ৬-দফা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। ৬-দফা ঘোষণার পর স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্রতর হয় এবং সারা পূর্ব বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের যৌথ আন্দোলন গণআন্দোলনকে বেগবান করে। তৎকালীন স্বৈরশাসক এ আন্দোলন নস্যাৎ করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে। ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্য আসামিদের মুক্তি এবং সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক-ছাত্র-শিক্ষক-জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ঢাকাস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউশন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬-দফা, পরবর্তীকালে ১১-দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা। পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। গত ১৫ বছরে নিরলস পরিশ্রম করে দেশের আর্থসামাজিক সকল খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মানুষ উন্নয়নের সুফল উপভোগ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় এসে আমরা জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস উপহার দিয়েছি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি, ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করেছি। অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ চিরতরে রুদ্ধ করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি এবং রায় কার্যকর করছি। নতুন প্রজন্ম দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে।

 

শেয়ার করুনঃ