সিলেট অফিস,সীমান্তে গরু চোরাকারবারিদের গুলিতে আহত হয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র টহলরত এক নায়েক।
বিজিবির আহত নায়েক এর নাম আখিরুজ্জামান। তিনি বিজিবি সিলেট সেক্টরের ২৮- ব্যাটালিয়ন সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের বাংগালভিটা বিওপিতে দায়িত্বরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার বিজিবির পক্ষ থেকে ৯০ চোরাকারবারির নামে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৮-ব্যাটালিয়ন সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজিবি ও স্থানীয় সুত্রে জানায়,রবিবার (২৮ সেটেম্বর) রাতে একদল সংঘবদ্ধ চোরাকারকারবারি ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা গরুর চালান ট্রলার বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছিল সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের বাংগালভিটার রূপনগর সীমান্ত এলাকার নৌপথে।
ওই রাতে ২৮- ব্যাটালিয়ন সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের বাংগালভিটার বিওপির বিজিবির ১১ সদস্যের একটি টহল দল সীমান্তের ৪’শ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে রূপনগর এলাকার নৌপথে ট্রলার বোঝাই চোরাচালানের গরুর চালান আটক করতে গেলে ১০০ থেকে ১২০ জন চোরাকারবারি সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবি টহল দলকে ঘেরাও করে হামলা করে।
দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার, ইট পাথরের ঢিল নিক্ষেপ ছাড়াও চোরাকারবারিরা বন্দুক দিয়ে ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে বিজিবি টহল দলের উপর। ওই সময় চোরাকারবারিদের গুলিতে আহত হন টহলরত বিজিবির নায়েক আখিরুজ্জামান।
এরপর বিজিবির পাল্টা ফায়ারিং ও প্রতিরোধের মুখে চোরাকারবারিরা পিছু হঠলে বিজিবি একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার বোঝাই ৩৩টি ভারতীয় গরু, ট্রলার থেকে চোরাকারবারি কতৃক বিজিবির উপর হামলায় ব্যবহৃত একাধিক বল্লম, দা, কাঁচি, পাথর, ঢাল জব্দ করে।
মধ্যনগর থানার ওসি মনিবুর রহমান জানান, বিজিবি টহল দলের উপর হামলা, বিজিবি নায়েক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ৩০ চোরাকারবারির নামোল্ল্যেখ সহ অজ্ঞাত নামা ৫০ থেকে ৬০ জনের নামে মঙ্গলবার থানায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।