ঢাকা, শুক্রবার, ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
৭ দিনে সেনা অভিযানে গ্রেফতার ৩৯০, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ
প্রতিকূল আবহাওয়ায় গর্ভবতী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিল কোস্ট গার্ড
খিলগাঁও থেকে অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
টিকটকে পরিচয়,আবাসিক হোটেলে নিয়ে খুন,অতঃপর
জলাবদ্ধতা নিরশনে ডিএনসিসির জরুরি কন্ট্রোলরুম স্থাপন
মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং ক্লাবের নেতৃত্বে মহসিন-মিয়াজী
নবীগঞ্জ উপজেলায় তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার সমাপনী দিনে জনসচেতনতামূলক সভা
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ৩ হাজার পদে নিয়োগ
ঈদ উপলক্ষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তায় ৭৪ জন আনসার মোতায়েন
সুন্দরগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের গতীশিলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ
রূপসায় ৬০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
রাণীনগরে আড়াই লাখ টাকার চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে ভস্মিভূত
রাণীনগরে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
মোরেলগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫ শুরু
তানোরে দিনব্যাপী সমবায় সমিতির সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

সিরিজ ডাকাতি, চার মামলার রহস্য উদঘাটনে গ্রেফতার ১০

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পর্যায়ক্রমে কয়েকটি বাড়িতে সিরিজ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চক্রের সর্দার ইলিয়াস (৪৮) ওরফে ‘মাস্টার’ সহ মোট ১০জনকে গ্রেফতার করেছে কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ। চক্রটি পুলিশের চোখকে ফাকিঁ দিতে মাছ ধরার জাল সাথে রাখত এবং পুলিশের টহলটিম বা চেকপোস্টে ধরা পড়লে মাছ ধরতে যাচ্ছে জানাতো বলে জানাগেছে।

গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (০২জানুয়ারি) ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ইলিয়াস ওরফে ‘মাস্টার’ (৪৮), শাহিন ওরফে ভাগিনা (২৮), সোহেল (৪০), বাবুল (২৪), আসাদ (৪৩), রাশেদুল ওরফে বিটু (৩০), ওহাব ওরফে নানা(৬২), সামাদ (৫০), দীপু (২০) এবং মকবুল ওরফে মঙ্গল (২৭)।
ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে দূর্ধর্ষ একদল ডাকাত কেরাণীগঞ্জের বলসুতা ও অভ্রখোলা এবং দক্ষিণ কেরাণীঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি বাড়িতে সিরিজ ডাকাতি করে আসছিলো। সশস্ত্র এই ডাকাতদল গভীর রাতে বাড়ীর গ্রিল কেটে ঢুকে পড়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাড়ীর সকলকে জিম্মি করে ফেলে। বাড়ীর পুরুষ ও নারী সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেধেঁ ফেলে। তারপর ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা মুহুর্তের মধ্যে বাড়ীর আলমিরি, শো-কেজসহ সবকিছু ভেঙে মূল্যবান স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও দামী কাপড়-চোপড় এমনকি টেলিভিশন পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়।

পরে ডাকাতি শেষে বাড়ীর সবার মোবাইল কেড়ে নিয়ে বাইরে ফেলে দিয়ে যায়। কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদল ডাকাতি করে ফেরার সময় স্থানীয়দের বাধাঁর সম্মুখীন হলে একের পর এক ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। দুর্ধর্ষ এইসব ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেয় ডাকাত দলের সর্দার যাকে ডাকাত দলের সদস্যরা ‘মাস্টার’ বলে সম্মোধন করে।

ভুক্তভোগীরা জানায় ডাকাত দলের সদস্যরা যে যা খুজেঁ পায় (স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা) সব তাদের ‘মাস্টারের’ কাছে নিয়ে জমা দেয়।

এ ঘটনায় উদ্ধতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে টিম গঠন করে একটি তদন্ত দল ডাকাত ‘মাস্টার’ গ্রুপকে গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করে।

তদন্ত টিম প্রতিটি ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে এবং ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয় যে, ডাকাত সর্দার ‘মাস্টার’ এর নেতৃত্বে একটি ভয়ংকর ডাকাতদল সবগুলো ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। একপর্যায়ে তদন্ত দল তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত দুর্ধর্ষ এই ডাকাতচক্রকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ডাকাতদলের সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনাগুলোতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা পুলিশের চোখকে ফাকিঁ দেওয়ার জন্য মাছ ধরার জাল সাথে রাখে এবং কোথাও পুলিশ টহলটিম বা চেকপোস্টে ধরা পড়লে পেশায় জেলে এবং মাছ ধরতে যাচ্ছে বলে জানাতো।

গ্রেফতারকৃত ডাকাতদলের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ডাকাত দলের পলাতক অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার ও ডাকাতির অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ