
আসাদু্জ্জামান,প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ঈদের ছুটিতে গ্রামীণ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে হামলার পরিকল্পনায় জেলায় ৫২টি গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ও অন্যান্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে জেলা পুলিশ। গত শুক্রবার রাত থেকে জেলার ১১টি থানা এলাকায় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগের নেতাকর্মী ও তাদের সহোযোগীরা ঈদের ছুটিতে ভারতের সহায়তায় রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংক এবং এই সংশ্লিষ্ট যেকোন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও হামলার পরিকল্পনা করেছে। প্রাথমিকভাবে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রামে এই হামলার সূত্রপাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যে জানানো হয়। ঈদের ছুটিতে নাশকতা অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে না পারে সেই লক্ষ্যে জেলা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
জানা গেছে, হামলার পরিকল্পনা রুখে দিতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ৮টি, উলিপুরে ৮টি, রাজারহাট ৬টি, নাগেশ্বরীতে ৮টি, ভূরুঙ্গামারীতে ৫টি, ফুলবাড়ীতে ৩টি, কচাকাটাতে ২টি, চিলমারীতে ৫টি ঢুষমারা থানায় ১টি, চর রাজিবপুরে ১টি ও রৌমারী থানায় ৫টিসহ মোট ৫২টি টিম গ্রামীণ ব্যাংকের শাখার সামনে নিরাপত্তা প্রদান করছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি রাখ হয়েছে। এছাড়াও আনসার, চৌকিদার, দফাদার দিয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম শহরের সোনালী ব্যাংক পাড়া এলাকার জলিল মিয়া(৫০) জানান, এবারে জেলা পুলিশ ব্যাংক গুলোতে নিরাপত্তা দিচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকসহ সকল ব্যাংকে পুলিশের পাহাড়া রয়েছে। শহর জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ভালো।
যতিনেরহাট বাজার এলাকার রিকশা চালক মাইদুল ইসলাম বলেন, ঈদের সময় শহরে যাত্রী একটু বেশি থাকে। তাই সারারাত রিকশা চালাই। এবছর শহরের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের টহল বেড়েছে। রাতভর রিকশা চালালেও আর ভয় লাগে না।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের ছুটিতে জেলায় নাশকতার পরিকল্পনার একটি গোয়েন্দা তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তাই জেলার ৫২টি গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পুলিশের পাহারা রয়েছে। ঈদের ছুটির ১০ দিন পর্যন্ত এই নিরাপত্তা পাহারা জোরদার থাকবে। জেলায় যেন কেউ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না ঘটনা না পারে সেই জন্য পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।