ঢাকা, শনিবার, ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
কলাপাড়া বাজার আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে’ গাজী ফুটবল একাডেমি চ্যাম্পিয়ন’
কারাগারে ঈদ উদযাপনে গরু ও খাসি কোরবানি
মংলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ নেট জাল ও পলিথিন জব্দ
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দলীয় প্রার্থী ফারুক হাসানের উদ্যোগে শতাধিক টিউবয়েল বিতরণ
বিএনপি নেতার উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
শোলাকিয়ার ঈদ জামাত ঘিরে বিজিবি মোতায়েন
মোংলায় যৌথ অভিযান:২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন জব্দ
বরিশালে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়,কোস্ট গার্ড সদস্যদেরকে হুমকি
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার আরও ১,৩৬৭
কালিগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন
ঈদের আগে সোনালী ব্যাংকের বুথে লেনদেন বন্ধ ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
রাজবাড়ী-গুলিস্তান রুটে বিআরটিসি বাস উদ্বোধন, আরও যে সুখবর দিলেন চেয়ারম্যান
কুয়েট ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
কুড়িগ্রামবাসীর বিনোদনের খোরাক মেটাতে নির্মিত হচ্ছে ডিসি পার্ক, দ্রুত বাস্তবায়ন চায় জেলাবাসী
মোহাম্মাদি যুবসমাজের উদ্যোগে ঈদ উপহার পেয়ে খুশি গরীব অসহায়রা

শহীদ পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ঈদ উপহার পেয়ে কান্নায় ভাঙলেন মা

দীর্ঘ ১৭ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এ বিজয়ের পেছনে আছে অগণিত ত্যাগ, আন্দোলন আর বুকভরা রক্ত। রাজপথের সংগ্রামে যারা জীবন দিয়েছেন, সেইসব শহীদের পরিবার আজো বয়ে চলেছে শোকের ভার। হারিয়েছেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে—চোখে জল, মনে দুঃসহ ব্যথা।

এমন বাস্তবতায় ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পাশে দাঁড়ালেন কলমাকান্দার সন্তান, বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। নিজ অর্থায়নে তিনি কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার আন্দোলনে নিহত ৮টি শহীদ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন ঈদের বিশেষ উপহার।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলমাকান্দার আহাদুন, আব্দুল আল মামুন, সোহাগ মিয়া ও মেহেদী হাসান শহীদ হন। এদের প্রত্যেকের পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হয় কোরবানির জন্য একটি করে খাসি, চাল, ডাল, মসলা, পেঁয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে নতুন জামাকাপড় পর্যন্ত ঈদ সামগ্রী।

শহীদ আব্দুল আল মামুনের মা উপহার হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কণ্ঠ বেদনায় ভারাক্রান্ত, বলেন, ‘আমার ছেলেকে হারিয়েছি, কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ব্যারিস্টার কায়সার আমার আরেক ছেলে হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এত বড় উপহার পেয়ে আমি অভিভূত। তার জন্য দোয়া করি—সে যেন অসহায়দের পাশে থাকে সবসময়।’

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘শহীদ পরিবারের শোকের ভাগীদার আমি। ঈদের আনন্দ ও বেঁচে থাকার সাহস তাঁদের সাথে ভাগ করে নিতে পারাটাই আমার দায়িত্ব। শুধু ঈদ উপহার নয়—চিকিৎসা, আবাসনসহ যেসব সহযোগিতা দরকার, তা দিয়ে যাচ্ছি এবং দিয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। অপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে, যারা পরিবারগুলোকে নিঃস্ব করেছে, তারা ন্যায়বিচার পাবে। আমরা যেন সত্যিকার অর্থেই নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে পারি—এটাই কামনা।’

শহীদের রক্তে লেখা এই সংগ্রামের গল্প যেন বিস্মৃত না হয়, সেই চেষ্টায় একজন রাজনীতিকের মানবিক উপস্থিতি হয়ে উঠেছে আলোর দিশা।

শেয়ার করুনঃ