ঢাকা, শনিবার, ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময়
শিক্ষার্থীদের সাথে ঈদ উদ্যাপন করলেন মাভাবিপ্রবি উপাচার্য
ভূরুঙ্গামারীতে ঈদের দিনে পুকুরে ডুবে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু
গোবিপ্রবিতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য গরু ও অমুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য খাসি কোরবানি
কলাপাড়া বাজার আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে’ গাজী ফুটবল একাডেমি চ্যাম্পিয়ন’
কারাগারে ঈদ উদযাপনে গরু ও খাসি কোরবানি
মংলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ নেট জাল ও পলিথিন জব্দ
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দলীয় প্রার্থী ফারুক হাসানের উদ্যোগে শতাধিক টিউবয়েল বিতরণ
বিএনপি নেতার উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
শোলাকিয়ার ঈদ জামাত ঘিরে বিজিবি মোতায়েন
মোংলায় যৌথ অভিযান:২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন জব্দ
বরিশালে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়,কোস্ট গার্ড সদস্যদেরকে হুমকি
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার আরও ১,৩৬৭
কালিগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন
ঈদের আগে সোনালী ব্যাংকের বুথে লেনদেন বন্ধ ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

পঞ্চগড় আগের তুলনায় সুপারির দাম বেশি, সুপারি এখন সোনার হরিণ

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সুপারি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তাই এখন পঞ্চগড়সহ পাঁচ উপজেলার সুপারি যেনো সোনার হরিণ। এখানকার সুপারি মান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় এর চাহিদা বেড়েছে। ফলে প্রতিদিনই স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে লাল রঙের পাকা সুপারি। বোদা বাজারের সুপারির হাট ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির গাছ কিংবা বাগানের সুপারি বিক্রি করতে আনা চাষিরা অপেক্ষা করছেন কাঙ্খিত দামে সুপারি বিক্রির জন্য। পাইকাররা এসব সুপারি কিনে ছোট, বড় আলাদা আলাদা করে স্তুপ করে রেখেছেন। এখানকার কাঁচা-পাকা সুপারির বিক্রি হয় পণ অথবা কাহণ হিসেবে। ৮০ টা সুপারিকে বলে এক পণ। আর ১৬ পণ সুপারি হয় এক কাহণ।
বোদা উপজেলা হাট বাজারে দেখা যায়, এক পণ সুপারি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে। মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় চাহিদার তুলনায় বাজারে সুপারি কম। যা প্রতি পিস (একটি) সুপারির দাম ৬ টাকার একটু বেশি। প্রতি মৌসুমে এই অঞ্চলে প্রায় শতকোটি টাকার সুপারি বেচাকেনা হয়।
সোলাইমান নামে এক সুপারি ব্যবসায়ী বলেন, বোদা উপজেলার বিভিন্ন হাট থেকে সুপারি কিনে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সুপারি পাঠান তিনি। প্রতি হাটে সুপারির জোগান কম হওয়ায় দাম এখন বেশি।
স্থানীয় ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এলাকায় বছরজুড়েই সুপারির ব্যবসা চলমান থাকলেও মূলত বছরের চৈত্র, বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য মাস সুপারির ভরা মৌসুম।
এ সময়ে স্থানীয় এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সাপ্তাহিক হাটবাজার থেকে সুপারি কিনে সংরক্ষণ করে। এবং অন্য মৌসুমে বিক্রি করে। আবার বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা পঞ্চগড়সহ পাঁচ উপজেলায় এসে সুপারি কিনে নানাপ্রান্তে নিয়ে যান। সুপারির দাম চাহিদার উপর নির্ভর করে অনেকাংশে। সাধারণত সুপারি কাঁচা, ভেজা ও শুকিয়ে বিক্রি করা হয়।
আগের চেয়ে এখন বেশি মানুষ সুপারি খায়। বাঙ্গালি ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে পান-সুপারি বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বার মাস প্রায় প্রতিটি বাড়িতে প্রাথমে অতিথি আপ্যায়নের অনুষঙ্গ হিসেবে থাকে পান-সুপারি।
বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ধনিপাড়ার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, বাপ-দাদারা বাগান রেখে গেছেন। সুপারি বিক্রি করেই বছরের ছয় মাস আমার সংসার চলে। সুপারির ওপর অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে। চারা রোপণের পর সাধারণত ৫ বছরে গাছে ফল ধরে। ১০-৪০ বছর পযর্ন্ত সর্বোচ্চ ফলন হয়। একটি গাছে ৩-৫টি ছড়া হতে পারে।
বোদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহম্মেদ রাশেদ-উন-নবী বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর কম সুপারির ফলন হয়েছে। সুপারি হলো এ অঞ্চলের কৃষকদের বাড়তি আয়ের একটি অর্থকরী ফসল। ফলে কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় এলাকাভিত্তিক সুপারি চাষ ক্রমশ বাড়ছে। বসতভিটার চারদিকে, পরিত্যক্ত জমিতে, রাস্তার দুই ধারে সুপারি গাছ লাগিয়ে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। গত কয়েক বছর ধরে অনেক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে সুপারি উৎপাদন করছেন।

শেয়ার করুনঃ