ঢাকা, রবিবার, ১লা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
দক্ষিণ শ্রীপুর যুবদলের আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত
তানোরে অর্কিড স্কুল এন্ড কলেজে ফল উৎসব
আত্রাইয়ে দিনব্যাপী পার্টনার প্রকল্পের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ চেকপোস্ট
বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীর বাসাবাড়ি-কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আ’লীগের ২৬ জনের নামে মামলা
ভারতীয় গণমাধ্যম নর্থইস্টের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ আইএসপিআরের
দেবহাটার খলিশাখালির ভূমি সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য কমেনি: প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা ঘের মালিকদের
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টুং টাং শব্দে মুখরিত সলঙ্গার কামারপট্টি
লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং লিবার্টির সভাপতি হলেন শরিফুল ইসলাম
খুলনা টাইগার্সের মালিক ইকবাল আল মাহমুদ গ্রেফতার
জলঢাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে তিন ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন
বিরামপুরে কৃষকদের নিয়ে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
দলিল জালিয়াতির অভিযোগে কবি সানাউল হকের পুত্র সুমন ইত্তাদ মামুন পলাতক
ধরলায় শখের বঁড়শিতে ধরা পড়েছে ১০ কেজি ওজনের চিতল
রাজস্থলীতে ড্রাম ট্রাক দুর্ঘটনায় ৭ শ্রমিক আহত

নবীনগরে ফসলি জমির মাটি কাটায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আশ্বাস

মো. সফর মিয়া,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে মেঘনা নদীপাড় সংলগ্ন ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। এতে নদীভাঙনের আশঙ্কায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি নদীপাড়ের উর্বর জমি থেকে প্রতিদিন মাটি কেটে ট্রলারে করে ইটভাটায় সরবরাহ করছেন। এতে নদীভাঙন রোধে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি ও কৃষিজমি।

গত ২৬ মে (সোমবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একদল শ্রমিক স্টিলের ট্রলারে মাটি তোলার কাজ করছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে,এই কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রীঘর গ্রামের কান্দিপাড়ার কাসেম মিয়া (পিতা: মৃত অলেক মিয়া) ও দক্ষিণপাড়ার আলমগীর হোসেন (পিতা: রেনু মিয়া)। জানা গেছে, আলমগীর হোসেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ভাই।

বসতবাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষায় এলাকাবাসী বারবার প্রতিবাদ জানালেও প্রভাবশালীদের কাছে কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান, ফলে কেউ ক্যামেরার সামনে আসেননি।

মেঘনাপাড়ের নারী-পুরুষ সবাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, “এভাবে মাটি কাটতে থাকলে আমরা ঘরবাড়ি হারাব, জমি নদীতে চলে যাবে। দয়া করে আমাদের রক্ষা করুন।”

এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি জানার পর আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমদ বলেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই।”

এলাকাবাসী আশাবাদী, স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে এই অবৈধ মাটি কাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে এবং তারা নদীভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবেন।

শেয়ার করুনঃ