ঢাকা, শনিবার, ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
আমতলীতে হুমকির বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ
ইসরায়েলি পন্য বয়কটের দাবিতে পল্লবী থানা যুবদলের বিক্ষোভ
কালিগঞ্জের লম্পট গৌরপদ মন্ডল গ্রেফতার
বিরামপুরে শ্রমিক দলের ঈদ পুনর্মিলনী
আত্রাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির ওপর হামলা গ্রেপ্তার-১
বোয়ালমারীতে গলায় ফাঁস নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলবায়ু যোদ্ধাদের গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক-র‍্যালি
বাকাশিবোর চেয়ারম্যান হওয়ায় শুভেচ্ছাও অভিনন্দন পেয়েছেন প্রকৌশলী রুহুল আমিন
বান্দরবানের কালাঘাটায় বিএনপির অফিস ভাংচুরের প্রতিবাদে-নাইক্ষ্যংছড়িতে বিক্ষোভ
রামপুরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর চাঁদা দাবী,উদ্ধারে পুলিশ
রূপসায় ফিলিস্তিনে নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
কালিগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলন ও মতবিনিময় সভা 
বঙ্গোপসাগরে ডাকাতের কবলে পড়া ফিশিং ট্রলারসহ ৬৭ জেলেকে উদ্ধার করলো কোস্ট গার্ড
দুই কিলোমিটার ধাওয়া করে ছিনতাইকারীকে ধরলো সেনাবাহিনী
নওগাঁয় পরকীয়ার বলি সন্ধ্যা কে ফিরে পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

আইনমন্ত্রীর সম্পদের পাহাড়, ১০ বছরে বেড়েছে ২১৮ গুণ

সম্পদের পাহাড় গড়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গত দশ বছরের ব্যবধানে মন্ত্রীর নগদ টাকা বেড়েছে ২১৮ গুণ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি তার কাছে নগদ ৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ১০ কোটি ৯২ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৯ টাকা নগদ আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন, যা ১০ বছর আগের তুলনায় ২১৮ গুণ বেশি।

শুধু নগদ অর্থই নয়, এবার আয়ের নতুন উৎস হিসেবে বাড়ি ভাড়া যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থের পরিমাণও ১০ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৭ টাকা।

আনিসুল হক পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার বাবা প্রয়াত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকও সংসদ সদস্য ছিলেন। আনিসুল হক আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে নির্বাচন করবেন। এ জন্য নির্বাচন কমিশনে তিনি হলফনামা জমা দিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুযায়ী, আনিসুল হক কৃষি-মৎস্য, বাড়ি ভাড়া, মায়ের নামে থাকা শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র/ব্যাংকে রাখা আমানত, মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা এবং ব্যাংক এফডিআরের সুদকে আয়ের উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এর মধ্যে কৃষি ও মৎস্য খাত থেকে বছরে ৪৩ লাখ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৫ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৯ টাকা, মন্ত্রী হিসেবে ভাতা ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ব্যাংক এবং এফডিআরের সুদ বাবদ ৪৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ টাকা। প্রয়াত মায়ের নামে থাকা শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ টাকা আয় হয় আইনমন্ত্রীর। হলফনামায় মন্ত্রী অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজের কাছে নগদ ১০ কোটি ৯২ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৯ টাকা দেখিয়েছেন। এ ছাড়া তার কাছে মার্কিন মুদ্রা রয়েছে ১৪ হাজার ৯৩ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকা।

২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর টানা দ্বিতীয় মেয়াদে আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পান আনিসুল হক। মন্ত্রিত্বকালে গত পাঁচ বছরে মন্ত্রী সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম বাংলাদেশের ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ারের মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া স্থায়ী আমানতে মন্ত্রীর বিনিয়োগ আছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৮ টাকা, মোটরগাড়ি রয়েছে ৪টি। আর স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ২০ ভরি।

আনিসুল হকের স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে ৮ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে, যার মূল্য ১৬ লাখ টাকা। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায়ও একই পরিমাণ কৃষি জমির কথা উল্লেখ করেন তিনি। রাজধানীর পূর্বাচলে তার একটি প্লট রয়েছে, যার মূল্য ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ টাকা। এ ছাড়া বনানীতে একটি বাড়ি, যার মূল্য ৪৫ লাখ টাকা এবং দুটি ফ্ল্যাট যার মূল্য ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তবে কোনো প্রকার দায় নেই আইনমন্ত্রীর।

শেয়ার করুনঃ